Wednesday, September 17, 2014

আশ্চর্য ! আজ কি পূর্ণিমা ?
আকাশে দুটি চাঁদ কেন ? না কি কোনো ভাদ্রসুন্দরীর কপালের টিপ ?
না, ভদকা তো খাইনি ! তাহলে ? আফিম বা গাঁজাও খাইনি ! অথচ দিব্যি দুটি চাঁদ, পাশাপাশি, জ্বল জ্বল করছে !

চশমাও তো নতুন !
তাহলে ?
ভাবতাছি, একটা স্ট্যাটাস দিয়া ফালামু !
তয়, সাবজেক্ট খুঁজতাছি !
নেগেটিভ দেওন ভালা না, আমারে আমার মাইয়া কইয়া দিছে, বাবা, দুঃখরে বুকর মাঝে রাখবা, কথা কইবা হাসি মুখে !
মাইয়া আমার সিয়ানা ! তার কথা ফালাইবার না !
তয়, সাবজেক্ট ?
প্রেম, না, রাজনীতি ? না কি, ধর্ম ?
ধর্ম কইলেই ভাইস্যা ওঠে, ক্ষমতার কথা...মাইনষরে দাবাইয়া রাখার ঘুইট্যাচাল ! একদিকে প্রেম, আর একদিকে রাজনীতি...ধর্ম তার এই দুই মুখ লইয়া ক্যামনে হাজার হাজার বছর মাইনষরে দাবাইয়া রাখছে, ভাবলে শরীরর রোম শির শির কইরা ওঠে ! এইডা জানার নামরে আমরা কইছি ইতিহাস !
মৃত্যুর সঙ্গে পাশা খেলার শখ বহুদিনের...
বার্গম্যানের ছবি দেখার অনেক আগে থেকেই এই শখ ! সেই ছেলেবেলায়, মালঠেপে, এক সন্ধ্যায়, বড়দের পাশাখেলা দেখার পর থেকেই আমার এই শখ...
এখন, মাঝে মাঝে, মনে হয়, সমগ্র জীবন ধরেই তো পাশা খেলে আসছি মৃত্যুর সঙ্গে...
জানি, একদিন, এই সূর্য সহ গ্রহনক্ষত্র সকলই চলে যাবে কালের গহ্বরে...

তখনও অন্য কোনো সৌরলোকে, অন্য কোনো জগতে আমাদের স্বপ্নগুলি,
ক্রমে, রূপ নেবে ভ্যান গগের
ছবির মতো...
এটা ঠিক, উপমা উপমাই, উপমা আসলকে ধরতে পারে না, কিছুটা আভাস বা ইশারা দেয় মাত্র !
তবু কবিরা সুযোগ পেলেই উপমার আশ্রয় নেন, কালিদাস এই কাজ সুচারুভাবে সম্পন্ন করেছিলেন, বলে, উত্তরসূরীরা এখন, কথায় কথায়, বলেন কালিদাসস্য উপমা !
প্রণয় কাহাকে বলে জানে না বালক,
মাতৃগর্ভ ছেড়ে এসে, সে দেখে, পালক
খসানোর যজ্ঞ, তন্ত্র সাধনার মত
নির্জন রাত্রিকলস, ওম্, সম্ভবত
কলসের থেকে আসা নিরালম্ব ধ্বনি…
ফলত সে খুঁড়ে চলে একাধিক খনি ।
প্রণয় কাহাকে বলে জানে সে বালিকা,
চতুর্দশী রাতে একা গাঁথে সে মালিকা ।
বলে না কাউকে, ভাবে, বলিবার নয়,
প্রেম কবিতার মত, সে ইশারাময় ।
বস্তুত শূন্যতা বাড়ে খনির ভেতরে
অন্তর্মুখী স্রোত ক্রমে পলি চাপা পড়ে ।
বালক বোঝে না এই চাপা, টান টান
রহস্যময়তা, তার চাই অনির্বান
যজ্ঞ সহ রতি, শব সাধনার পথে
একান্ত ভৈরবী সহ পরবিধিমতে
রচিত সঙ্গীত কিছু ! ইহা কি প্রণয় ?
কে জানে সংজ্ঞার রূপ, সকল সংশয়
ধাবিত হয়েছে আজ মৃত নগরীতে,
মালিকা শুকায় একা নীরব সঙ্গীতে !
সমস্ত দিনের শেষে পড়ে থাকে একান্ত অসুখ...
বস্তুত সকলেই ভিখারি...
ঠিক আছে, কথাটির দুটি অর্থ, ঠিক নেই আর এবং সত্যি ঠিক আছে ! জানি না, এই দুটির কোনটা গ্রহণীয়...
গ্রহণ আর গ্রহণের মাঝখানে আশ্চর্য এক ফাটল, সেই ফাটলের অতলে পড়তে পড়তে ভাবছি, একেই কি পাতালগমন বলে ?
দিনগুলি হোক রচনার, শৈলীর আর ভাবনার...
রাতগুলি হোক...
হাহাকার আড়াল করা কবিতার...
আকাশ ভরে ওঠুক নীলে
প্রকৃত ভালোবাসায়
মানুষের হৃদয় হোক, ঘাস নয়,
শকুনের ভাঁড়ার নয়, আনন্দস্থান...
ঈশ্বর বা আল্লাহ নয়, এই আনন্দই মানুষের একমাত্র আরাধ্য যা ভালোবাসা ছাড়া পাওয়া যায় না !
গুরু বিনে গতি নেই...
এই কথাটির আড়ালে রয়েছে গুরুবাদ, যা একজন মানুষ বা মানুষীর চেতনাকে পঙ্গু করে দেয় তীব্র ভাইরাসের মতো !
পুরোহিত বা মোল্লাতন্ত্রের এক সরল সংস্করণ এই গুরুবাদ !
ঈশ্বর বা আল্লাহ আছেন কি নেই, সেই কূটতর্কে না গিয়েও বলা যেতে পারে, তিনি যদি সৃষ্টিকর্তা বা পিতা হয়েই থাকেন, তাহলে, পিতার কাছে যেতে তৃতীয় কোনো লোকেরপ্রয়োজন হবে কেন সন্তানের ?
এই তৃতীয় ব্যক্তি তো দালাল বা মধ্যস্বত্বভোগী ছাড়া কেউ নয় ?
চিরকাল, পাপ ও পূণ্যের নামে এই দালালশ্রেণী মানুষকে তার অজ্ঞানতা থেকে দূর করার নামে ঠেলে দিয়েছে আরও গভীরতর অন্ধকারের দিকে !
নাভিমূল থেকে সোজা উঠে গেছে পদ্মফুল, এই ক্যালেণ্ডারীয় চিত্র আমরা দেখে আসছি অনেকেই ! সেখানে ধ্যানরত বিষ্ণু, কখনও ব্রহ্মা !
এই দৃশ্য দেখলেই, আমার মনে পড়ে, গভীর দুপুরের কথা !

দুপুর মানেই বন্ধ দরজা, জানালা, ভেতরে বৈতরণী...
সাঁতার কাটছে কোকাকূল...
দরোজা ছিলো কি ? আমি তো এসেছি জানালা টপকে !

দেখেনি তো কেউ ? লোডশেডিংয়ের ফাঁকে চলে
এসেছি তোমার কাছে !

শ্বশুর ঘুমিয়ে গেছে ?
আয়ান কোথায় ? সে কি আজও চিটফাণ্ডের দালালী করে ? ফেরেনি মিছিল থেকে ?

উঠে বসছো যে !
আমাকে নেবে না ? তোমার ঐ
উপত্যকা জুড়ে আজ বন্যা,
ভেসে যাচ্ছে কালীদহ,

নৌকোহীন আমি,
পার হবো তোমার যমুনা !

গুলি বর্ষণের ফাঁকে ফাঁকে
সন্ধ্যার প্রণয়
গাজা আর ইউক্রেণ জুড়ে...

মুখ নামিয়ে আনছি
উড়োজাহাজের
বন্দর কি খুব দূরে ?

জানালা গলে ঐ
আসছে বাতিঘরের আলো

এসো, এবার অবৈধ পুজো
শুরু করি মন্ত্রহীন
গোপন সে তন্ত্রসার আরাধনা

পূণ্য থাক দূরে,
তুমি তো পূণ্যের কারবারী
নও, নীতিমালা

দিয়ে, চলো আজ
শুরু করি রাজসূয় যজ্ঞ !

ক্রমশ নীরবতাই সঙ্গী হয়ে উঠছে আমার...এত কলরব চারদিকে, তা থেকে সরে আসতে আসতে, এখন নীরবতা ভিন্ন আর কিছু নেই অবশিষ্ট !
বাঁচা এবং মরা, দুইই যার কাছে সমার্থক, তার কাছে স্বপ্ন অর্থহীন, দুঃখও অর্থহীন...
সে দেখে আকাশনীলিমা
, গ্রহপু ঞ্জ, দুধছাই পথ, আর নীচে স্রোতরাশি...
এই দেখার ওপারে চুপ করে বসে আছে গভীরতম এক অন্ধকার...
দেবতাদের সব অভিশাপ, তোমার নীরবতা, বিষকলসের শেষ নির্যাস এক চুমুকে পান করবো, বলে, আজ চলে এসেছি মরুনিকেতনে !
এসে, দেখছি, পূণ্যবান ও সতীর মেলা বসেছে বালির শহরে !
কত শস্তায় বিকোচ্ছে খ্যাতি সহ পুরস্কার, ধর্মগীতি গাইছে বোবা, শুনছে বধির, মিছিলে এসেছে পঙ্গুরা !
এই উত্সবের উল্টোদিকে আদর্শের প্রদর্শনী, এসব পার হয়ে, আমি চলেছি বৈতরণীর দিকে !
তোমাদের সকল অভিসম্পাত এবার গলায় ঢালবো, বিষ সহ, নীরবতা, দৈবশাপ মিশিয়ে...

এটুকুই বাকি ছিলো !
আচ্ছন্নতা পার হয়ে একটি সাপ জেগে উঠছে তোমার চোখের ভেতর, লালা সহ তার বিষ আমি ধরে রাখছি চায়ের কাপে...
যে সকাল কোনোদিন আসবে না, তার সমস্ত শরীরে মেখে দেবো এই বিষ আগামী হোলির দিনে, মাখাবো আশ্চর্য বিষণ্ণতা...
তুমি চেয়েছো হলুদ, আমি ভরে দেবো রাবারের রঙ তোমার দুচোখে.
নীরবতা, তোমার ঐ থাবা ক্রমশ চেপে বসছে আমারই হৃদপিণ্ডে...

কি চাও তুমি ? আমার প্রাণ ?
তোমার মলিন কেশগুচ্ছ উড়ে যাচ্ছে মহানিদ্রা থেকে দূরে,
ঘুমের ভেতর তুমি, মনে হল, বড় দুঃখী, পাথরপ্রতিমা,
সবুজ নাইটি সরে গেছে মহাপ্রস্থানের দিকে, ঊরুসন্ধি ব্যবহারহীন, কাঁধ থেকে খসে পড়েছে নাইটিটির হাত, পাকা দুটি ডালিমের উপরে ভ্রমর বসে আছে, মনে হল, এই ভোরের আলোয়, শ্বাস-প্রশ্বাসের ধ্বনি থেকে ক্রমে ঝরে যাচ্ছে দুঃখ !
গৃহ জতুময় জেনেছিলে,
তবু এই গৃহটানে তোমার জীবন পূর্ণ হচ্ছে শূন্যতায়...

পথ জানে, তোমার বেদনা,
দীর্ঘশ্বাসময় এই ভোরে
তুমিই রচনা করো নীরবসঙ্গীত

আমি তার একমাত্র শ্রোতা...

Monday, September 8, 2014

তুমি, এই সম্বোধন, তাহার মাধুর্য সহ ধাবিত হয় মরু-উদ্যানের দিকে, যেখানে ঐ যৌনউট জাবর কাটিতেছে আপন মনে !
সে অনুভব করে না এই মরুহাহাকার, সম্বোধনলীলা, আর উষ্ণ নীলিমা !
উটের চাহিদা কন্টকসর্বস্ব, তুমি সম্বোধনটির অভিমুখ সেইদিকে নয় !
বোকাদের সংগঠনেও আমার ঠাঁই নেই, চতুরদের ধারে কাছে ঘেঁষার সাহস রাখিনি কোনোদিনও, বুদ্ধিমানদের দলে যাবার এলেমও নেই !
ফলে, আমার অবস্থা সেই দর্শকের মতো, যে সবকিছুতেই মাথা নাড়িয়ে যায়, বুঝুক আর নাই বুঝুক !
ঘরে ফিরে এসে, সে নিজেকে বলে, যাক, মাথা নাড়াবার কাজটা তো করলাম !
একটি লেখা হয়ে ওঠলো কি না, বুঝতে, কম পক্ষে দশ বছর সময় দরকার ! তার আগে তা যদি আগুনে পুড়ে যায় বা কীটখাদ্য হয়ে ওঠে, তাহলে, অপেক্ষার প্রয়োজন নেই !
এ প্রসঙ্গে, কৃত্তিবাসে , তখন অক্রুর দত্ত লেন থেকে প্রকাশিত হতো প্রতি মাসে, সন্দীপন চট্টোপাধ্যায়কৃত এক গ্রন্থালোচনার কথা মনে পড়ে,
যা সেই সময় প্রচণ্ড আলোড়ন তুলেছিলো !
তিনি লিখেছিলেন, ...কাব্যগ্রন্থটি আগুনে দিয়ে দেখলাম, দাউ দাউ করে জ্বলছে !
কাটা মুণ্ডুও কথা বলে,
শোনোনি তা তুমি,
নুলো হাতে ধরে রাখি
হৃদকম্পনের সিলেবাস,
উড়ে যায় পাতাগুলি দূরে
উদ্যানপীড়িত রোদে
প্রজাপতিগুলি
নীল, নীল এনেছে আকাশে
নীল বুঝি একা এক স্বপ্ন ?
মাঝরাতে ঘুম
ভে ঙে গেলে নেমে আসে
তীব্র হাহাকার
কাটা মুণ্ডু পান করে এই
হাহাকার...অনেক জন্মের
ঋণ বোঝা হয়ে চেপে আছে,
তোমাকে কি দেবো ?
নাও তবে অন্ধ দুই চোখ
কাটা জিহ্বা, রক্তনীল জবা...
মহাপ্রস্থানের পথে যে কুকুরটি ছিলো পাণ্ডবের সঙ্গী, আজ তাকে কোথাও দেখি না ! বড় দরকার ছিলো তার !
অসমাপ্ত ছবি, আঁকো এই
মুখ, আড়ালে রেখেছো আজ
আঁকো ঠোঁট বঙ্কিম নয়ন,
গ্রীবা সহ সূক্ষ্ম কারুকাজ !
ফুরিয়ে গিয়েছে রঙ সব ?
এই নাও, রক্ত-পূঁজ, নীল
আঁকো তবে ভ্রুযুগল আর
খুলে দাও কুঠুরীর খিল !
আকাশ নেমেছে দুই বুকে
প্রবল চুম্বনে তাকে আঁকো
অসমাপ্ত ছবি, রঙে রঙে
গড়ে তোলো অন্তহীন সাঁকো !
মূলত আমারও দিন কাটে
মৃত্যুর পথ চেয়ে...
সে কথা বলিনি আগে ?
ওগো রাত্রির মেয়ে !
একটি জিরাফ আসে ঝাউবনে
খুঁটে খায় লাল ঝুঁটি
ঝাউবন তুলে দেয় তাকে তবু
আদরের রুটি !
এসব দৃশ্য দেখি একা একা
পৃথিবীতে এসে,
আবার দেখেছি, মৃতদের
নাচ জতুগৃহ শেষে
ধর্ষকও মজুরি পায়
রেগাময় গ্রামে...
মঞ্চশোভিত হয় পাপ
আর পূণ্যের নামে !
দিন কাটে আহত বাঘের মত
রাত, ফেরারীর বেশে
একে কি বলবে তুমি, বাঁচা ?
প্রাণহীন দেশে ?
দীর্ঘহাত রেখো, কুয়ো,
ঐ গভীরে তার স্পর্শ
নিও, উষ্ণতার মতো
থিরবিজুলীর ছায়া
ঘিরে আছে, ও শীতল,
প্রস্রবণ তবু জানে
কিভাবে ছড়িয়ে গেছে
গুল্মলতা, ও সবুজ
পিচ্ছিল সুড়ঙ্গ যেন
দীর্ঘহাত সেখানে কি
যেতে পারে, কুয়ো বিনা
সম্মতির পথ ধরে !
নিও, এই অন্ধকার,
বালতির টান টান
কথকতা সহ এই
গ্রীষ্মদিন, বর্ষাকাল...
আত্মকলহের পথে দেখা,
ঐটুকুই, বাকি
সব ছিলো তোমার গোপন,
পথ তো বন্ধুর,
ফলে, ব্রেক কষে যেতে হয়
লং ড্রাইভে, নাহলে, বোঝো,
এতদিনে, আত্মকলহের
রাত মুখরিত
হতো রশীদ খানের সুরে
বেজে ওঠতো কবিতা, পথ
বিপরীতগামী,
তবু ঘুরে এসে একদিন
মিশে যাবে কবরের পাশে...
এই জেনে, তুমি
পরিক্রমা করো একা একা
দুপুরের বাসে,
দুপুর আমাকে টানে এক
অবৈধ কলোনী থেকে আর
এক কলোনীর
দিকে, যেখানে তোমার বাস
আত্মকলহের ঘোর পথে !
এক আধটু লিখি, ভাই !
নেশা বলতে, এটুকুই !
বাকি কথা বাকিই থাক !
সংজ্ঞামাত্রই বিপজ্জনক এবং একই সঙ্গে বিভ্রান্তকরও বটে !
হয় তো একারণেই নানা সংজ্ঞার আয়োজন ! এই আয়োজনে উপকারের চাইতে অপকারই হয়েছে বেশি !
অন্ধের হস্তিদর্শন কথাটি এ প্রসঙ্গে প্রণিধানযোগ্য !
সংজ্ঞা মূলত ব্যক্তির নিজস্ব ধারণা, কোনরকমেই তা সর্বজনীন নয় ! কেন না, তা পূর্ণকে ধরতে পারে না, স্পর্শ যদিও করে, তা অংশত !
শিক্ষক নন, তাঁরা গুরু...
আমার অন্ধকার প্রাণে বারবার আলো জ্বালাতে চেয়েছেন...তাঁদের মধ্যে যাঁকে সবচেয়ে বেশি মনে পড়ে, তিনি, সুহাস স্যর, সুহাস মিশ্র !
গণিত যে মূলত কবিতা, তিনিই বলেছিলেন সেই কবে...
তাঁকে প্রণাম...
ডুমুর কিনতে গিয়ে মনে পড়লো তোমার কথা...
ডুমুরের কেউ নও তুমি,
তোমার ডুমুরশোভা তোমাকে যতটা আনত করেছে, শ্রীবৃদ্ধি ঘটেছে তার বেশি !
ব্যাগে তুলে নিতে নিতে দেখি
ডুমুরবিক্রেতার ঐ মুখ, ক্ষুধার্ত, লাজুক, কিছুটা ভয়ার্ত !
ডুমুর প্রসঙ্গে এইসব কথা
লিখে রাখি গোপন ডায়েরি জুড়ে, যদি কোনোদিন কোনো এক নির্জন গভীরে পড়ে ফেলো, এটুকু কামনা করে মৃত এই কবি...
সকাল দশটায় আমাদের সকাল হলো আজ !
বহুদিন পর, আজ, রবিবারকে রবিবার মনে হচ্ছে !
শুধু বাজারটাই করা হলো না আর !
রবিবারও চলে যাচ্ছে, যেমন সকলে চলে যায়, পেছনে পড়ে থাকে দীর্ঘশ্বাস, একা !
আজ এই দীর্ঘশ্বাস বহন করছি, একা !
জানি, সকল মিথ্যার মাঝখানে, তুমিই উজ্জ্বল সত্য, দীর্ঘশ্বাস তুমি, আমাকে জাগিয়ে রেখেছো, মৃত্যুর পথে...
বার বার বলেছি, দয়া করে, আমাকে আর ফ্রেণ্ড রিকোয়েস্ট পাঠাবেন না কেউ !
বন্ধু শব্দটির ভার ও ভর বহন করার ক্ষমতা আমার নেই, আমার চতুর্থঘর দগ্ধ, আজন্ম বন্ধুহীন আমি ! ফেসবুকে যাদের ভালোবাসা পাই, স্নেহ পাই, তা সেইসব উদার এবং মহত্ মানুষের জন্য পাই...
তাঁদের শ্রদ্ধা জানাই...
আজন্ম ভিখিরি, ফলে, সদর দরজা থেকে ফিরিয়ে দিয়েছে সকলেই, পিতা থেকে শুরু করে নদীটিও !
প্রিয় রেললাইন, সেও !
সিলিংফ্যান, ঘুমের বড়ি সহ সকলেই !
সদর দরজা আজ খোলা, তবু তা আমার জন্য নয় !
বাস্তব বলে যাকে তুমি চেনো, সে আসলে তোমার কল্পনা !
সত্য সত্য নয়, মিথ্যা মিথ্যা নয়, এ কেবল এক ভ্রম, অথবা আশ্চর্য এক স্বপ্ন, যা থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছো...অথচ পারছো না...
এই ঘোর লাগা জীবন তোমার, তুমি এর ঘূর্ণীপাকে ক্রমে ডুবে যাচ্ছো...
নঞর্থক আর সদর্থক এই দুইয়ের মধ্যে আপাত বিভেদ থাকলেও এরা যে একই ভাবের দুই রস, এটুকু যদি কেউ না বোঝে, তাকে পঞ্চাশজন শিক্ষক দিয়েও বোঝানো সম্ভব নয়...
এ প্রসঙ্গে, শক্তিপদ ব্রহ্মচারীর একটি কবিতার পংক্তি উচ্চারণ করা যেতে পারে :
সকল নাস্তি ছুটে যাচ্ছে অস্তির দিকে...
আশ্চর্য ! আজ কি পূর্ণিমা ?
আকাশে দুটি চাঁদ কেন ? না কি কোনো ভাদ্রসুন্দরীর কপালের টিপ ?
না, ভদকা তো খাইনি ! তাহলে ? আফিম বা গাঁজাও খাইনি ! অথচ দিব্যি দুটি চাঁদ, পাশাপাশি, জ্বল জ্বল করছে !
চশমাও তো নতুন !
তাহলে ?