Monday, March 16, 2015

প্রতিটি শব্দের মানে দুজনের কাছে দুরকম,
যে বলে, সে ভাবে, অর্থ হবে তার মত,
যে শুনেছে, তার কাছে ভিন্ন এক স্রোতে
অর্থ আসে, টানাপোড়েনের এই খেলা
অনেকটা হাডুডুর মত !
আসলে শ্রোতা ও কথকের এই খেলা
দর্শনাতীত রাত্রির, দিবসের নয়,

দিবস পুরুষ মাত্র, সে বোঝে না রাত্রির কুহক...
চুমু খেয়েছিলে তুমি মরণের ঠোঁটে ?
সেই থেকে লেগে আছে চাঁদের গ্রহণ !
আমাকে পছন্দ নয়, জানি,
আমার লেখাকে ?
কৌতুহল নিয়ে চেয়ে থাকি
আনত রেখাকে !
চুম্বনের পর তার ঠোঁট
সামান্য মাতাল !
দুটি হাতে কবিতার বই,
বিষণ্ণ চাতাল !
সদ্য প্রকাশিত এবারের
বইমেলা থেকে,
উন্নত ও দুটি বুক তার
রেখেছিল ঢেকে,
থর থর কেঁপেছিল তবু
পাতার আড়ালে !
জন্মভীরু, পেতে পারতাম
দুহাত বাড়ালে !
লজ্জা না কি ভয়ে দাঁড়িয়েছে
নিচু করে মুখ,
আমাকে পছন্দ নয়, জানি,
লেখাতে কি সুখ
পায়, সেই জানে, কিনে আনে
আমার কবিতা,
একান্ত পাঠিকা, দাবি করে
আধো আচম্বিতা
তরুণী সে, রেখা সুত্রধর,
দেখে, এই কবি !
মূলত লম্পট, কামাতুর,
বহিরঙ্গে ছবি
তার মুখোশের, যেন সন্ত,
ছত্রে ছত্রে ভান !
কিভাবে পছন্দ করে তাকে
সূত্রধর রেখা ?
লেখার আড়ালে এত যার
অন্তর্লীন দেখা,
লাগেনি মোটেও ভালো, তবু
কোনো এক ঘোরে
এগিয়ে দিয়েছে দুটি ঠোঁট
কালান্তক ভোরে !
প্রকৃত প্রস্তাবে কোথাও ছিলো না আলো,
করাতকলোনী থেকে উড়ে আসে চিঠি,
প্রেরক অজ্ঞাতনামা, সইহীন, ভাষা
চিরঅচেনা, রৈখিক, বহুবর্ণময়,
চিঠির প্রস্তাবে ছিলো ধনুকের ছিলা,
ইশারাসম্বল, শরযোজনার কথা
বুঝিনি প্রথমে, ফলে, নিম্নগামী জল
উঠে এসেছে শরীরে, ঊর্ধমুখে, তীব্র
দলীয় পতাকা হাতে আসে পংক্তিগুলি,
দল আসে, দাবি করে চিঠির নির্দেশ,
অবশ্য পালিত হোক মানব কল্যাণে !
যে মানব মিছিলের, প্রাণস্পর্শহীন !
চিঠি কি নির্দেশনামা ? আর কিছু নয় ?
সমূহ বেদনা নেই ? উপেক্ষার আলো ?
ঘনঘোর অন্ধকার ? ভ্রান্তিময় শব ?
প্রকৃত প্রস্তাবে তবে মিথ্যার দ্যোতনা ?
করাতকলোনী আজ শোক-মুহ্যমান,
ভাষার অন্তিম ক্রিয়া শেষে পড়ে থাকে
ছাইপর্ব, দীর্ঘ গোধূলির পাঠক্রম,
তাকে পাঠ করে আজ অন্ধ সে পাঠক !
1884-র 19 এপ্রিল বিয়ের (রবি ঠাকুরের) চার মাস পর আফিম খেলেন কাদম্বরী ! মারা গেলেন একুশে এপ্রিল সন্ধ্যাবেলা !
মৃত্যুর সমস্ত প্রমাণ লোপাট করে দেওয়া হলো ! ঠাকুরবাড়ির ইতিহাস থেকে কাদম্বরীর নাম মুছে দেওয়া হলো ! কাদম্বরীর নাম উচ্চারণ নিষিদ্ধ হলো ! চল্লিশটি বেশ্যালয়ের মালিক প্রিন্স দ্বারকানাথের পুত্র মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ মহর্ষি টোডির কায়দায় ঘুষ দিয়ে মুখ বন্ধ করলেন কাগজের এবং পুলিশের ! ঠিক যেরকম সিপিয়েমের কায়দায় ব্রাহ্ম না হওয়ার জন্য হরিনাথকে ভিটেমাটিচাঁটি করে কাঙাল করে দিয়েছিলেন মহর্ষি জমিদার দেবেন্দ্রনাথ !
--মানুষের বাচ্চা ফতাস্/পৃ:430
আমি সৌভাগ্যবান, পারিবারিক ক্ষেত্রে আমার যেমন দুই মা, মাতৃভাষাও আমার দুটি, এই দুই ভাষা আমার স্বপ্নের দিগন্ত, বাস্তবের মাটি !
বিষ্ণুপ্রিয়া মনিপুরী এবং বাংলা, এই দুটি ভাষাই তার শহীদ সন্তানের জন্য এখনও নীরবে কাঁদে !
জন্মকাল থেকে, মা'র মুখে শুনে এসেছি, যমেরও অরুচি আমি !
ছেলেবেলায়, তা উপলব্ধি করিনি, এখন তা মর্মে মর্মে করি !
পরপর ঘটে যাওয়া ঘটনাবলী তার সাক্ষ্য দেয় ! 1974 সালে আগরতলা থেকে শিলচর যাওয়ার পথে, লংতরাইয়ে বাস উলটে পাহাড় থেকে গড়িয়ে পড়ে গভীরতম খাদে ! আমার সহযাত্রী দুজন সহ ড্রাইভার ও আর একজন মারা যায় এই এক্সিডেন্টে !
যম আমাকে ঘৃণায় ফেলে রেখে যায় !
1975 সালে শিলচরে রেল লাইনে মাথা দিতে গিয়েছিলাম আশ্চর্য এক আবেশে ! না, সেবারও প্রত্যাখ্যাত !
তারপর তিনবার আত্মহত্যার চেষ্টা করি, 1981, 1993, 2005 !
20টা ঘুমের বড়ি হুইস্কির সঙ্গে মিশিয়ে 1993 সালে খেয়ে দেখেছিলাম, তিনদিন পর জ্ঞান ফিরে এলে, দেখি, আমাকে ঘিরে প্রচুর লোকজন সহ আমার এক ভাইপো ডাক্তার ঝুঁকে দেখছে আমাকে !
2005-এ সিলিংফ্যান থেকে দড়ি ছিঁড়ে পড়েই গেলাম !
যম বারবার ফিরিয়ে দিয়েছে আমাকে, যেভাবে ভালোবাসা ফিরিয়ে দিয়েছে প্রতিবার !
গত বছর, 12 ডিসেম্বর, আগরতলা থেকে ফেরার পথে, বাসস্ট্যাণ্ডে, অজ্ঞান হয়ে পড়ে যাই, আধঘণ্টা পর, এম্বুলেন্সে, জ্ঞান ফিরলো, মরে যেতে পারতাম, যদি যম সহৃদয় হতো !

গতরাতে, জ্বরের ঘোরে, যমের সঙ্গে দেখা হলো ! কেন তিনি আমার প্রতি এত নির্দয়, জানতে চাইলে, তিনি হেসে ওঠেন, বললেন, তোমাকে যে আরও অপমান সইতে হবে ! আরও নিঃসঙ্গতা !
বাংলাদেশ বইমেলায় অভিজিত রায়কে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে...
এই সংবাদে, মর্মাহত ও মূঢ় !
এ আমরা কোথায় চলেছি ?
মুক্তমন-ব্লগে, কাল, নিহত হবার আগে, অভিজিত রায় যে লেখাটি লিখেছিলেন, তার কপি না রেখে, খুব ভুল করেছি ! অনেকেই জানতে চাইছেন, কি লিখেছিলেন তিনি ?
আসলে কি লিখেছিলেন অভিজিত রায় ?
ঐ লেখাটি মূলত পদার্থ বিজ্ঞানীদের সাম্প্রতিক আবিষ্কার ও তাদের বক্তব্যের প্রতিপাদ্য !
বিশ্বসংসার, এই মহাবিশ্ব, নক্ষত্রমণ্ডলী, ছায়াপথ সহ সবকিছু সৃষ্টি, না, ঈশ্বর বা আল্লাহ করেননি, তা শূন্য থেকেই সৃষ্ট ! ঈশ্বর বা আল্লাহর হাত এর পেছনে নেই !
শূন্য থেকে কিভাবে সৃষ্ট হলো, পদার্থবিজ্ঞানীরা তাই দেখিয়েছেন প্রমাণ সহ !

আল্লাহ বা ঈশ্বরবিশ্বাসীদের কাছে এ যে ভয়ংকর কথা ! তারা এটা মানবেন কেন ? তাহলে যে তাদের ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাবে ! সকল ব্যবসার সেরা ব্যবসা এই ধর্মব্যবসা ! এটা বন্ধ হয়ে গেলে যে সমূহ সর্বনাশ !
আল্লাহর অস্তিত্বই যদি না থাকে, ঈশ্বরের অস্তিত্বই যদি না থাকে, তাহলে ধর্মও মিথ্যে হয়ে যায় !
আর ধর্ম মিথ্যে হয়ে গেলে, মন্দির-মসজিদ-গীর্জার প্রয়োজন থাকে না, মৌলবী-পুরোহিত বা পাদ্রীর দৌরাত্মও থাকে না !
এত হানাহানিও থাকে না !
বসন্ত, এনেছি রক্ত, ভোজালির হাতে...
প্রেম নয়, তুমি চেয়েছো জবাই আর
একচ্ছত্র ঘন অন্ধকার...
দয়া করে, কেউ ফ্রেণ্ড রিকোয়েস্ট পাঠাবেন না আমাকে ! যথারীতি 500 জন অপেক্ষাতালিকাভুক্ত, এই তালিকা আর দীর্ঘ করার দরকার নেই !
হ্যাঁ, আমি তাদেরও ছাঁটাই করছি যারা মৌলবাদী, ধর্মান্ধ আর প্রতিনিয়ত অপরের ক্ষতির কথা ভাবে !
তারাই আমার বন্ধুতালিকায় থাকবেন যারা ভালোবাসতে জানেন, জাতিভেদমানেন না বা ধর্মপ্রীতি রক্ষা করতে চান !
হ্যাঁ, তাকে অতি অবশ্যই সৃষ্টিশীল হতে হবে আর কলারসিক হতে হবে ! চিন্তাবিদ হলে আরও ভালো !
বাকিদের রিকোয়েস্ট পাঠাবার দরকার নেই !
ঈশ্বরের মেল এড্রেস কেউ দিতে পারবেন ? একটা জরুরি বার্তা দেবার ছিলো তাকে !
ত্রিপুরায় বেড়াতে এলে, ঠকে যাবার ষোলো আনা চান্স আছে, এর মানে, এই নয়, যে, ত্রিপুরায় আসবেন না !
ত্রিপুরায় এসে কি দেখতে চান, আগে স্থির করুন !
1. প্রকৃতি
2. ঐতিহাসিক স্থান
3. ধর্মীয় স্থান
মূলত এই তিনটিই দর্শনীয় !
সাধারণত, বাইরে থেকে যারা আসেন, পর্যটন নিগম থেকে তাদের দেখানো হয় নীরমহল, সিপাহীজলা আর মাতারবাড়ি ত্রিপুরেশ্বরী মন্দির, কখনও বা কসবা কালীবাড়ি, আরও দুয়েকদিন থাকলে ঊনকোটি ও জম্পুই হিলস, ব্যস, আপনার ত্রিপুরা দেখা এখানেই শেষ !
এই ভুল আপনি করবেন না ! আপনি প্রকৃতি প্রেমিক হলে, আপনাকে যেতে হবে গহীন জঙ্গলে, যদিও ত্রিপুরা সরকারের সৌজন্যে জঙ্গল মানেই রাবার বাগান ! সবুজের সমারোহ ? সে আর কিছু নয়, ঐ রাবার বাগান ! এই বিষ-আবহ ছাড়িয়ে, আপনি চলে যেতে পারেন ছবিমুড়া ! নৈসর্গিক সৌন্দর্য, এমন আর কোথাও সচরাচর পাবেন না ! চাঁদনী রাতে গোমতীর বুকে নৌবিহার, ফিরে এসে, গোমতীর তীরেই কটেজে এখানকার ট্রাইবেলরচিত মদ আর শুয়োরের ভর্তা আপনার ভ্রমণকে স্বর্গীয় করে তুলবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই ! পরদিন চলে যান ডম্বুর লেক, চাকমা রমণীদের হাতে মাছ ভাজা খান নৌকোয় বসে ! ইচ্ছে করলে পার্বত্য চট্টগ্রামের খুব কাছেও চলে যেতে পারেন ! ডম্বুর চিলকা নয়, তবু দিগন্ত বিস্তৃত অথৈজলের উপর এই নৌভ্রমণের আনন্দ অপার্থিব !
ইতিহাসবিলাসী হলে, ত্রিপুরায় আপনাকে আসতেই হবে ! 1971-এ বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের প্রথম বাহিনী যেখান থেকে 'গো মার্চ' শুরু করেছিলো, মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্প না দেখলে, বিশ্বাসই করতে পারবেন না, ভাষার আবেগ ধর্মের চেয়ে অনেক বড় !
ইতিহাসবিস্মৃত পেটিকারা রাজবংশের রাজধানীও ছিল এই ত্রিপুরায়, এখন তা পিলাক নামে খ্যাত !
এরকম অনেক অদেখা ও অজানা স্থান এখানে আছে, যা আপনার ভ্রমণপিপাসু মনকে নির্মল আনন্দ দেবে !
বহিরঙ্গ রাঙিয়ে কি করবে তুমি, যদি অন্তরই রাঙাতে না পারো মনের রঙে ?
না-লেখার দিনগুলি বড় ভয়ংকর, আমাকে নিঃস্ব করে তোলে !
কিন্তু লিখবো কি ? এক আশ্চর্য মিথ্যার উপর দাঁড়িয়ে আছে আমাদের ধর্ম, রাজনীতি আর এই সমাজ...লিখবো কি সেসকল অন্তঃস্বারশূন্য কাহিনী ? লিখবো কি সম্পর্কের অন্ধকার দিক ?
নাকি, লিখে ফেলবো সেই পিচ্ছিল সিঁড়িটির কথা ? অথবা খালি ক্লাসরুমে রুদ্ধশ্বাস সেই যৌনতার কথা, শিক্ষক তার নবম শ্রেণীর ছাত্রীকে ভোগ করছেন ?
অথবা সেই শ্মশানের কথা যেখানে আমার বেওয়ারিশ লাশ তোলা হয়েছে ?
কি লিখবো আমি ?
লিখতে আমি কখনও চাইনি, একথাটি যতখানি মিথ্যে, তার চেয়ে বেশি সত্য হলো, আমি বাধ্য হয়েছিলাম লিখতে ! যোগ্যতাহীন একটা ছেলে, বন্ধুহীন, একা, কি করে তার দিনগুলি রাতগুলি কাটাতে পারে লেখা ছাড়া ?
সঙ্গী বলতে কয়েকটি বই, পাড়ার সমাজসেবা কেন্দ্র থেকে আনা, আর স্কুল থেকে পাওয়া পুরস্কার ! ছোটদের রামায়ণ, পঞ্চতন্ত্র, হিতোপদেশ, ঠাকুরমার ঝুলি, হলদে পাখির পালক, কাকাবাবুর কাণ্ড, উপনিষদের গল্প ! আর, ঘরের পেছনে শিবের থান, বটগাছ, আমগাছ, মনুনদী, নৈঃশব্দ !
অনর্গল কথা বলতাম তাদের সঙ্গে ! কত কথা, আমার যন্ত্রণা, আনন্দ, ইচ্ছা-অনিচ্ছা, স্বপ্ন, সব বলতাম !
বলতে বলতেই লেখার শুরু !
তখন কি জানতাম, লেখা আমার জীবন তছনছ করে দেবে একদিন ? সকলের জন্য লেখা নয়, অন্তত অযোগ্যের জন্য নয়, আমার অযোগ্যতাকে সহ্য করেনি লেখা !
তার পরিণাম কত ভয়াবহ, আমি ছাড়া আর কে অনুধাবন করবে ?
আমাকে সে ভালোবাসেনি, আমি এখনও লেখাকেই আমার একমাত্র ভালোবাসা বলে জানি, মানি !
ঈশ্বরের সঙ্গে আমার দেখা হয়েছে অনেকবার, কথাও হয়েছে, বড় নিঃসঙ্গ, দুঃখী সে !
একদিন বললো, আমার নাম নিয়ে সকলেই আকাম-কুকাম করে বেড়াচ্ছে, অথচ আমি কখনও বলিনি তাদের, খুন করো ! বলিনি, ঘৃণা করো !
আমি তো কিছুই চাইনি ! কেউ আমাকে সম্বোধন করেছে, পিতা ! আমি নীরবে হেসেছি ! আর একজন বলেছিলো, তোমার অস্তিত্বই নেই, ভজনা করবো কাকে ? তখনও, মনে মনে, বলেছি, ঠিক ঠিক ! আমি তো আসলেই এনটিটিলেস !
আর একজন বলেছিলো, তোমার কোনো আকার নেই ! নিরাকার আমি, সেদিনও, যখন সে আমার কথা বলে চালিয়ে দিলো তার অনুগামীদের দিকে, মনে কষ্ট পেলেও, মাথা নেড়েছি, একা একা !
চতুর্বণং ময়া সৃষ্টম্ বলে, নিজের কথাটিকেই সমাজে প্রতিষ্ঠা যেদিন করতে চাইলো ব্যাসগণ, সেদিনও হা হা হা করে হেসে উঠেছিলাম !
আমি ঈশ্বরের মুখের দিকে তাকিয়ে, দেখি, অনন্ত বিষাদ !
কোনো কথা না বলে, তার দিকে এগিয়ে দিয়ে নেভিকাট একটা !
তা ধরাতে ধরাতে বললো, কেউ আমাকে অনুধাবন করতে চাইলো না, জানো ? আমার এই শূন্যতাকে অনুভব না করলে, করতে না পারলে, সকলই যে অর্থহীন !
রাত এমন প্রতারক হবে, আগে কি জানতাম ?
নিজেকে করেছি তছনছ,
শান্তি নেই তাতে ?
বাজি যা ধরেছি, লস, লস,
দিন যায়, একা, পান্তাভাতে !
লোকে ভাবে, লোকটা লম্পট !
হয় তো বা কিছুটা মাতাল !
স্বভাবে সে খুব ছটফট !
বন্য ও দাঁতাল !
প্রকৃত কি আমি বুঝি তা-ই ?
নিজেকেই ভাঙি আর গড়ি,
নিজের আগুনে পুড়ে হয়ে ওঠি ছাই,
নিজের গলায় দিই দড়ি !
জানি সবই শূন্যের খেলা,
পাপ ও পূণ্যকে রাখি বাজি,
সকলের এই অবহেলা
নিমেষে উড়িয়ে দিয়ে করি রকবাজি !
এটুকুই দোষ,
এটুকুই চাহিদা আমার,
সকল আক্রোশ
মেটাই শরীরে, আর করি ছারখার !
আজ ডিনার করলাম লিচি, শিবানী, উমা, লিচির মা ও প্রীতি আচার্য সহ !
লিচি ও তার মা মাড়োয়ারি, শিবানী হরিয়ানার, উমা বিহারের, প্রীতি বাঙালী আর আমি এর কোনোটাই না ! সন্ধ্যেটা কাটলো ভারি সুন্দর, পাতে ছিলো, রুটি, পরোটা, আলুর দম, কাশ্মীরী পনীর, ভেজ পোলাও, আচার আর হ্যাঁ, ফুচকা দিয়ে খাওয়া শুরু !
পদগুলি সব লিচি আর উমার মনপছন্দ !
আমি কেবল হোস্ট !
শেরওয়ালীর এই সন্ধ্যে স্বপ্নের !
বলেছো, মাদারচোদ, এক নম্বরের মাগীবাজ !
মাথা পেতে মেনে নিই আজ
তোমার সকল অপমান !
তুমি তো জানো না, এসব তোমার দান !
তৃষ্ণা পেলে মুখ রাখি দুই কলসের
ও দুই আঙুরে, কুচকুচে কালো আমার বসের
পৃথুলা বৌয়ের, হেসে, বলে ওঠে, খাও,
তোমার সকল তৃষ্ণা এভাবে মেটাও !
পিপাসা কি মেটে ? দেহের আগুন বাড়ে,
একা কাটে দিনরাত শুধু হাহাকারে !
শূন্যের প্রতিমা তুমি, নিষিদ্ধ বালিকা !
জ্বালিয়েছো শরীরের সকল জালিকা !
দুহাত পেতেছি আমি ভিখারির মত
প্রেম নয়, তুমি দিলে পূঁজ আর ক্ষত !
মাঝরাতে এসে করো দেখা,
ফিস ফিস স্বরে বলো, এসকল ভাগ্যলেখা !
ভাগ্যকে মানেনি, বিধবা সে, অরুন্ধতি !
আমিও বুঝিনি মতিগতি,
পৌষপার্বনের দিনে ডাক দিল রাতে,
মেঘগর্জনের ধ্বনি নয়, তার হাতে
ছিলো যাদু, নিদ্রাহরণের পর সাপলুডো খেলা
আমাকে করেনি অবহেলা !
প্রবল ঝড়ের পর থ্যাতলানো দেহ !
ভালোবাসা ? ছিলো কি সন্দেহ ?
রাত কাটে, তুমি হেসে বলেছো আমাকে,
কি পেলে ও দেহ ছেনে ? দুধ ও তামাকে
তফাত্ কোথায়, কবে নেবে শিখে ?
কি করে তোমাকে বলি, হাভাতের দিকে
এক টুকরো গমের রুটি
কে দিয়েছে ছুঁড়ে, লাল মোরগের ঝুঁটি
নেচে চলে গেছে
আমার বারান্দা থেকে ঢেউ তুলে শেষে !
বলেছো আমাকে, মাগীবাজ !
ঐ উপাধি আজ
আমার দেহের নীল জামাটির মত
ঢেকে রাখে অপমান, ক্ষত !
কালো ব্ল্যাকবোর্ড, মনে পড়ে আমাদের
বর্ণপরিচয় ? মনে পড়ে ?
চক ও ডাস্টার, মনে পড়ে নাকি সুধীরস্যরের
লঘু বেত, বেঞ্চের উপরে
দাঁড়িয়ে থাকার শাস্তি, দীর্ঘ ক্লাস শেষে
স্কুলঘর থেকে বাইরে বেরিয়ে এসে
মনে পড়ে আমাদের নদীটির কথা ?
বিকেলের রোদে স্নানরতা
দিদিমনিদের লাল পাড় শাদা শাড়ি
আর ঐ হলুদ বাড়ি,
মনে পড়ে ? অ-য়ে অজগর
কখনও আসেনি তেড়ে, শুধু চরাচর
জুড়ে একটি নিরীহ ভয়
আক্রান্ত করেছে আমাদের নাদান হৃদয় !

ব্ল্যাকবোর্ড থেকে অন্ধকার
নেমে এসে জীবন করেছে একা পার !
এটুকুই মনে আছে অজ আর আম
অর্থহীন ভেবে মধ্যযাম
খড়ি দিয়ে এঁকে রাখি রাফের খাতায়,
অর্বাচীন খরোষ্ঠী অক্ষরে
মনে পড়ে, জ্যৈষ্ঠের দুপুর, মনে পড়ে ?
এই রাত মরা কাঁঠালের,
এই ঘর শ্যাওলা ঘাটের...
জানালার ওপারে থাকে সে
এপারে একটি ঘুঘু, একা...
মাঝখানে নীরবতা, আর
এস্রাজের ছেঁড়া কণ্ঠনালী
জেগে আছে বড় অসহায়
ইনসমনিয়া...
কবিতা কেন লোকে লেখে ?
কেন গান গায় ?
কেন আঁকে ছবি, লেখে গল্প ?
তার চেয়ে, এই সময়টুকু মস্তি করে কাটালেই তো চলে !
জীবন একটাই, এনজয়, ডিয়ার, এনজয় !

ওসব ক্রিয়েটিভিটি নিয়ে মাথা গরম করার কোনো মানে নেই !
এনজয়, জাস্ট লাইক আ বাটারফ্লাই !
দড়িটি ঝুলছে, তার উপর হাঁটছি,
হাততালি দিচ্ছো ?
মূলত সকল খেলা ব্যালেন্সের, আমি
সেটাই শিখিনি কোনোদিন !
আমার পেরিয়ে যেতে হবে
এইটুকু পথ, দড়িটি সম্বল, হাতে
এই বাঁশের টুকরো, গতজন্মস্মৃতি
আসছি, এপার থেকে...টলতে টলতে !
সকলই খেলা, ভালোবাসা খেলা নয়, জীবনের সঙ্গে আমনাসামনা !
আঙুলগুলি নিয়েছো কেটে,
জিহ্বা নেই, উপড়ে নিয়েছো দুই চোখ,
গলা কেটে ঝুলিয়েছো মাথা,
হাঁটু ভেঙে রেখেছো চাতালে...
তবু এত ভয় ?
কবন্ধ কি কথা বলে ? বলেছে কখনও ?
যে নৈঃশব্দ ঘিরে আছে আজ
আসন্ন ঝড়ের পূর্বাভাস
এটা, জেনে রেখো, সেলুকাস !
গতজন্ম, এসো
অভিশাপ, এসো
কুমারী মেয়ের সিঁথি, এসো
আগামী জন্মের দুঃখ, এসো
আজ যৌথ তর্পণের দিন
এসো, অমাবস্যা
এসো, আজ আত্মবলিদান
যে চলে গিয়েছে ফেলে, এসো
যে থেকে গিয়েছো, এসো
শনাক্তকরণ শেষে, এসো
ঐ টুকু মেয়ে, সেজেছে দুর্গা !
দশ হাত নেই,
তা বলে, বল্লম ধরবে না দুই হাতে ?
সে জেনেছে, তার
দিদিকে বনের দিকে টেনে
নিয়ে গিয়েছে জহ্লাদ, দিদি
আর ফেরেনি কখনও ঘরে ! মা কাঁদছে,
ছিন্নভিন্ন শরীর দিদির,
বাবা পাথরের মত, চোখে জল নেই,
পুলিশ পুলিশ, চুপ করে আছে !

ফলত তাকেই বল্লম ধরতে হলো !
অসুর বিনাশে চললো ঐটুকু মেয়ে !
যাঃ ! তা হয় না কি ?
---
হয় বুঝি !
---
তাহলে কি হবে ?
গৃহস্থ হবার পর, বাহিরে যেতে ভয় করে !
বাহির চিরকাল আমাকে টানে, গৃহ নয়, অথচ সে হাতছানি উপেক্ষা করে বেরিয়ে পড়বো, সে মুরোদ নেই আমার !
কাপুরুষ আর কাকে বলে !
আত্মছল, তুমি ফিরে যাও...
গৃহ নয়, বাহির নয়, আমি থাকবো ঘরের সামনে, ভাঙা থালা পেতে !
পল্লব এসেছিলো আজ সন্ধ্যায় !
বিষাদ স্পর্শ করেছে তাকেও ! আমরা কি তাহলে বিষাদের সন্তান ?
শূন্যতার গ্রাস নয়, তার হাসি উন্মাদ করেছে আমাকেও আজ কদিন ধরে !
পল্লব বললো, ভারতীয় দর্শন এই শূন্যকেই ধরতে চেয়েছে নানারূপে !
তাই এত রূপ তোমার, এত অচেনা, এত রহস্যময় !
'সবাই চলে গেছে
একটি মাধবী তুমি এখনও তো একা
জেগে আছো !
কেন ?'
ফ্রেম থেকে সরিয়ে রেখেছো
ছবি, ছিঁড়ে ফেললে পারতে !
নীরবতা, আর কি কি ভাবে
চাও আজ আমাকে মারতে ?
না-থাকার মাঝখানে, কত অমলিন তুমি রয়ে গেছো, তা কেবল নদীটিই জানে !
নদীর গভীরে ডুব দিতে গিয়ে আমাকে জড়িয়ে ধরেছিলো নদী !
তীব্র স্রোত তার...ঘূর্ণিজলে ঐ রোমাঞ্চকর স্নান...মনে পড়ে, পরজন্ম ?
দীর্ঘশ্বাস জানে, কেন এই জেগে থাকা !
খেলা নয়, খেলা নয় এই জেগে থাকা !
একদিন, এই পৃথিবী ছেড়ে, মায়া ছেড়ে, ভালোবাসা ছেড়ে, মদ্যপান ছেড়ে, কবিতা ছেড়ে, গান শোনা ও আড্ডা ছেড়ে, চলে যাবো কলার উঁচিয়ে ! ফিরে তাকাবো না আর ! কোনো অপবাদ, নিন্দা, অপমান, উপেক্ষা, গ্লানি, প্রত্যাখ্যান তখন আর স্পর্শ করবে না আমাকে ! শুধু একটি দীর্ঘশ্বাস ঘিরে থাকবে আমার এই শূন্যতাকে !
সেদিনটির জন্য এই বেঁচে থাকা !
কবি অশোক দেব আর আজকের ফরিয়াদ-এর কর্ণধার শানিত দেবরায়-এর অনুরোধে, ধারাবাহিক গোয়েন্দা উপন্যাস লিখেছিলাম আজকের ফরিয়াদ-এর রবিবারের পাতায়, সেই তাদের কাগজের শুরুর দিকে !
প্রচুর ফোন পেতাম পাঠকের, অনুপ্রাণিত করতেন তারা !
আমার যাযাবর জীবনযাপনের ফলে, সেই উপন্যাসটির পাণ্ডুলিপি বা প্রকাশিত সংখ্যাগুলির কিছুই নেই আমার কাছে !
এমন কি লেখাটার নামও মনে নেই আর !
একইভাবে, স্যন্দন শারদীয় সংখ্যায়, লিখেছিলাম একটি উপন্যাস, ঐ সংখ্যাটির দায়িত্বে ছিলো গল্পকার দেবব্রত দেব !
সেটিও আমার কাছে নেই !
আমার লেখার প্রতি কোনো প্রকাশকের আগ্রহ নেই বলে সেগুলি বই হয়নি কখনও !
হলে হয়তো কপি থেকে যেতো কারও না কারও কাছে !
যদি ত্রিপুরার কারও কাছে সংরক্ষিত থেকে থাকে, দয়া করে, আমাকে জেরক্স কপি দিলেও বাধিত হবো আমি !
জীবনানন্দ দাস পরবর্তীকালে, বাংলা কবিতা বাঁক নিয়েছিলো মূলত কৃত্তিবাস গোষ্ঠীর হাতে ধরে ! এটা ইতিহাস ! ইতিহাসের বাইরেও কিছু তথ্য থাকে, যা চিরকাল থেকে যায় আড়ালে, ফলে বঞ্চিত হয়েছে পাঠকের বড় একটা অংশ ! মণীন্দ্র গুপ্ত, রমেন্দ্রকুমার, কেদার ভাদুড়ীর কথা আমপাঠক জানেনই না !
আবার রাজেশ্বরী দেবী, কবিতা সিংহ, নবনীতা দেবসেন, বিজয়া মুখোপাধ্যায়, দেবারতি মিত্র হয়ে বাংলা কবিতা যাদের হাতে সমৃদ্ধ হচ্ছে, মহিলা কবি বললে যারা আমাকে মারতে আসবেন, সেই চৈতালী চট্টোপাধ্যায়, সুতপা সেনগুপ্ত, সংযুক্তা বন্দ্যোপাধ্যায়, শ্বেতা চক্রবর্তী, কচি রেজা যশোধরা রায়চৌধুরী বা আরও এমন অনেক, যাদের কবিতা আমাকে মুগ্ধ করে রাখে ! বাংলা কবিতা পুরুষপ্রধান হয়ে, ছিলো অনেকদিন, এখন আর তা নেই ! তার রূপ পালটে যাচ্ছে খুব দ্রুত, তারপরও মাঝে মাঝে হতাশ হতে হয়, যখনদেখি, অপর কোনো ভাষায় এর চাইতে অনেক ভালো লেখা হচ্ছে ! মনে হয়, পিছিয়ে যাচ্ছে বাংলা কবিতা !
তাহলে কি বাংলা কবিতার বাঁক নেবার সময় ঘনিয়ে এসেছে ? কাদের হাত ধরে সে বাঁক নেবে, তা জানার কৌতুহল সহ বলবো, কলকাতা বা ঢাকা নয়, তা হয়তো হবে উত্তরবঙ্গ, উত্তর-পূর্ব ভারত বা ময়মনসিং, পাবনা, রাজশাহী, বরিশাল বা সিলেটের কোনো তরুণ গোষ্ঠীর হাত ধরে !
অনাগত সেই দিন আর কতদূর ?
ভাবতাছি, প্লুটো গ্রহটা কিন্যালামু ! সকল ফেসবুক কবিদের ট্যুরিস্ট স্পট করুম প্লুটোরে !
কিতা কন আপনেরা ?
আড্ডা মারার প্রকৃত স্থান হলো দোজখ বা নরক ! এখন, প্রশ্ন উঠতে পারে, নরক বা দোজখের ঠিকানা কি ?
ঠিকানা খুব সহজ ! তার জন্য গুগুলে সার্চ করার দরকার নেই ! ঢাকা, কলকাতা, আগরতলা, লাহোর, কান্দাহার, দিল্লী, মুম্বাই, প্যারিস, লণ্ডন যে কোনোটাই হতে পারে !
আড্ডাবাজ বা আড্ডাপ্রেমীদের জন্য দোজখের ওম বড় জরুরি, নরকের ঐ উত্তপ্ত কড়াইয়ের চা-ও দরকার !
নেপচুন থেকে একদল বিশেষজ্ঞ আসছেন, তারা এসে এই আড্ডার রেকর্ডিং করে নিতে, বিষয় খালেদা থেকে মোদী, মমতা থেকে মানিক সরকার, হেফাজতে ইসলাম থেকে বজরং দলও হতে পারে !
তবে, কবিতা এলাউড না ! নেপচুনে কবিতা ও প্রেম নিষিদ্ধ !
আমার নিজস্ব একটি নদী আছে, একান্ত গোপন সেই নদী ! মন খারাপ হলেই সেই নদীতে ডুব দিই, সাঁতার কাটি !
আমার নিজস্ব দুটি পাহাড়ও আছে ! ভীড় ভালো লাগে না আমার, ফলে, মাঝে মাঝে ঐ দুই পাহাড়ের আশ্রয় নিই !
আমার তো তেমন বন্ধু নেই, যে আমার জন্য ঝড়জলের রাতেও এসে আমার খোঁজ নেবে, বলবে, চলো, বমডিলা যাই !
আমার আছে নদী ও পাহাড়, আছে বলেই, এই অচেতন সময়েও শ্বাস নিতে পারছি আমার মত করে !
মায়াজম একটা ব্লগজিন, আমার পড়ার সুযোগ হয়নি আলসেমির কারণে ! আজ জানলাম, কে বা কারা এই ব্লগজিনকে ব্লক করে দিয়েছে, যা নিন্দনীয় !
সাহিত্যপ্রেমী কেউ যদি করে থাকেন, আমি বলবো, তার মন বিষাক্ত, সাহিত্যপ্রেমহীন !
এ ধরণের কুকাম থেকে বিরত থাকার অনুরোধ সহ গোটা ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি !
প্রেম আসলে নিঃসঙ্গতার পথে এক দীর্ঘ যাত্রা...
মুখ লুকোবার জায়গা আর নেই, ধর্ষণ, হত্যা, ধর্ম ও রাজনীতির নামে হানাহানি, সংখ্যাগুরুর আগ্রাসন, খবরের কাগজ, টিভি, সর্বত্র একই দৃশ্য, যা দেখে, মানুষ হিসেবে পরিচয় দিতেই লজ্জা করে এখন !
ফলে, মুখ লুকোতে চাই, আর সে জায়গাটাই আর নেই !
চোখের নিচে কালি,
ভাবছো নাকি খালি ?
এই ছেলেটা, শোনো,
কাজ ছিলো না কোনো
পদ্য লেখা ছাড়া ?
আয়, এখানে, দাঁড়া,
শস্তা নাকি শব্দ ?
মানে জানো অব্দ ?
অথবা ঐ অজ ?
বর্ণমালায় মজো,
রঙের বর্ণ কত
সহস্রদল ব্রত
জানো কিছু নাকি ?
আর রইলো বাকি
জিরো মানে শূন্য
তার ভেতরে শূন্য
তার ভেতরে শাদা
পূণ্য আছে আধা !
এসব বুঝি ভাবো ?
এই ছেলেটা, ভাবো !
চোখের নিচে আঁধার,
পদ্য লেখো, ব্রাদার ?