একদা,
এইখানে রাজপাট চালাইতেন লিকাগণ । সে বহুদিন আগের কথা নয় । বৌদ্ধধর্মালম্বী
এই লিকাগণ পরাজিত হন বোরো রাজবংশের থেকে বেরিয়ে আসা মাণিক্যদের হাতে ।
পরাজিতদের ধর্ম হইল, পুনরায়, রাজপাট দখল করিবার তীব্র বাসনাকে চাগাইয়া রাখা
। ফলে, বারবার যুদ্ধ বাঁধিয়াছে এই জনপদে । আরাকানদের সহায়তায় লিকাদের এই
প্রয়াস ব্যর্থ হয়েছে বারবার বোরোদের আগ্রাসী শক্তির কাছে । বাকিটা এখন
ইতিহাস । ভুবনেশ্বরী মন্দির হয়ে ওঠে অমর এক মন্দির
মূলত রবীন্দ্রনাথের বিসর্জন নাটকের কল্যাণে । মাতাবাড়ী হয়ে ওঠে
একান্নপীঠের এক পীঠ । যদিও শংকরাচার্যের মতে, একান্নপীঠের এই ত্রিপুরেশ্বরী
মন্দির কর্ণাটকেই অবস্থিত । বিতর্ককথা এড়িয়েই এই উদয়পুর আজ বিশ্বপরিচিত এক
ক্ষেত্র । পর্যটকরা এখানে আসেন প্রাণের টানে । যদিও পর্যটনক্ষেত্র যেভাবে
গড়ে ওঠে সেই পরিকাঠামো এখানে আজও গড়ে ওঠেনি তেমন করে । পর্যটক আসেন আর চলে
যান, শহরের বাইশ দীঘী ক্রমে বুজে আসে । একদা রাজারা যে সুখজলায় নৌবিহার
করতেন, আজ তা কৃষিজমিমাত্র । ২৫ বর্গ কিলোমিটারের এই জলা আজ স্মৃতিমাত্র ।
ভয় হয়, এই ক্ষেত্রটিও শেষপর্যন্ত স্মৃতির আড়ালে যদি চলে যায়, তাহলে কি হবে !
No comments:
Post a Comment