Saturday, October 10, 2015

নন্দনচত্বরে, একা, বসে বসে, হাওয়া খাচ্ছি, হঠাৎ, 'এই যে সমরজিৎ' বলে, যে এগিয়ে এসে, হাত বাড়ালো, সে আর কেউ নয়, জয় গোস্বামী ।
আমার মনে পড়ে গেলো, রাণাঘাট সিদ্ধেশ্বরী তলা, এক ছিপছিপে তরুণের সঙ্গে আড্ডা মারছি । সে জয়, তখনও তার খ্রীস্টমাস ও শীতের সনেটগুচ্ছ প্রকাশিত হয়নি, তখনও কৃষ্ণনগর রাণাঘাট ছাড়া আর কেউ তেমন চেনে না তাকে ।
আমি গিয়েছিলাম কৃত্তিবাসে তার একগুচ্ছ কবিতা ছাপা হচ্ছে, তা জানাতে, আমার স্বভাবসিদ্ধ মনিপুরী আবেগে । যদিও এই একগুচ্ছ কবিতা যা জয় পাঠিয়েছিল কৃত্তিবাসে এবং যথারীতি শক্তিদার হাতে তা অমনোনীত হয়ে বাতিলের ঝুরিতে স্থান পেয়েছে । অথচ এই কবিতাগুচ্ছ আমার খুব ভালো লেগেছিলো ।
কৃত্তিবাস তখন ১১ অক্রুর দত্ত লেন থেকে বেরুচ্ছে, আমি সেখানে ৭৫ টাকা মাইনের এক কর্মচারিমাত্র ।
কবিতাগুলি বাতিলের স্থান থেকে তুলে এনে, চুপচাপ, রেখে দিই মনোনীত কবিতার ভিড়ে, আর ছুটে যাই রাণাঘাট, জয়কে জানাতে ।
পরবর্তী এক সংখ্যায়, সুনীলদা ও শক্তিদা নেই, পাটনা গেছেন বেড়াতে, এই সুযোগে, কবিতাগুলি ছেপে দিই ।
ফিরে এসে, সুনীলদা বললেন, ছেলেটাকে তুমি চেনো ? ভালো লিখেছে । ওকে আরও লেখা দিতে বলো ।
জয় সম্পর্কে এটুকু বলার একটিই কারণ, জয়-এর সেইসব লেখা আর পাইনি উন্মাদের পাঠক্রম-এর পর ।
আমি চাই, জয় আমাদের আবার মাতিয়ে তুলুক ।

No comments:

Post a Comment