Thursday, August 29, 2013



ইউটোপিয়ার সন্তান, এর বেশি কি পেতে চাও আর ? ডাস ক্যাপিটালের পাতা উড়ে যাচ্ছে গীতার শ্লোকের সঙ্গে । নামাজের এই সন্ধ্যাও অর্থহীন, বাইবেলের গসপেলের মত । তবে আর কি চাও তুমি । সকল বাবাদের হাঁড়ি আজ ভাঙা, পীরের মাজারের ইঁদুরটি কবে কেটে ফেলেছে মানত, ঐ ফুঁকফাঁক ছেড়ে নেমে এস, নেমে এসে দেখো, ধর্মের আগেও ছিল মানুষ, ছিল প্রবল মৈথুন, ছিল শিকার, ছিল বংশবিস্তার । তুমি তো এই চেয়েছিলে, সন্তানের মুখ দেখে তোমার না-পাওয়াকেও সার্থক করে তোলা ? না কি, রাত্রির নৈঃশব্দ ?

যাহা পে লাগি বাজি উঁহা পর হারি...

বজ্রযানপন্থীদের এক গোপন সাধনার নাম মৃত্যুযোগ । না, এটা মৃত্যু যেন সুন্দর হয়, তার জন্য নয়, এই মৃত্যুসাধনা, মূলত, পরজন্ম স্বেচ্ছাধীন করার লক্ষ্যে করেন তারা ।


শরীর বিগ্রহ মাত্র । তাকেও জাগাতে হয় আরতিতে । আরতি জানি না আমি, ফলে, বিগ্রহ জাগে না । ধুলো ওড়ে রাতের বাতাসে । খসে পড়ে তারা । বিগ্রহ ঘুমোয়, একা, অনাথ শিশুর মত । ছেঁড়া কাঁথা, তেল চিটচিটে বালিশের নিচে চাবির গোছার মত স্বপ্ন থাকে কিছু । ঐ স্বপ্নের ভেতরে একটি অন্ধকার সাপলুডো । দুপ্রান্তে দুজন অশরীর । একটি সাপের লেজে, অপরটি মইয়ের কাছে । বিগ্রহাতীত এ খেলা, চলো, এবার আমরা খেলি ।

তব পূণ্য কিরণ ধুয়ে যাক মোর মোহকালিমা ঘুচায়ে...