Tuesday, January 28, 2014

বেঁচে থাকার জন্য চাই টগবগে আগুন, সে চকমকি ঠুকেই হোক, কাঠ বা কয়লা জ্বালিয়েই হোক, হিটার জ্বালিয়েই হোক । তবে সেরা হচ্ছে ভালোবাসার আগুন ।
লেখা মূলত নির্জন এক আত্মবিষ
সে বিষে লেখক মরে গেলে বেঁচে ওঠে নিঃসঙ্গ পাঠক ।
নমঃ দুর্বাঘাস, ও শ্যামরূপ 
নমঃ পীঠস্থান, ও জলরূপ 
নমঃ নাভিরূপ, ও ঊরুসন্ধি 
নমঃ উত্থান, প্রবেশমুহূর্ত, 
নমঃ রাত্রি, ও দুটি বেদানা, 
পান করি রসসার, দন্তাঘাতে জেগে ওঠা ও দুটি পীচফল, নমো নমঃ । 
গ্রীবার সকাশে ধাবমান, ও চুম্বন, 
তোমাকে প্রণাম । নমঃ অধর, ও খরজিহ্বা, 
মেলে ধরো দুর্বাঘাস, 
তাহাকে সরাও, বেজে ওঠো, ও গোপন এস্রাজ, 
এই রাত্রি কামাখ্যাপ্রণীত । 
কাঁধের উপর নৃত্যরত দুই পা, তোমাদের প্রণাম । 


এই যজ্ঞ শেষে, দেহভূমি পার হয়ে, 
তরমুজ ক্ষেত অতিক্রম করে, এসো প্রাণ, আমার কুটিরে ।
না হে, এভাবে আর চলে না । জড়ভরতের দেশে থাকি, কোথাও উজ্জ্বল মাছ নেই । সন্ধেবেলা সবুজ টিয়ার দল আকাশ কাঁপিয়ে ছুটে যায় পশ্চিমের দিকে । অন্তত ঐ টিয়াটির মত যদি সবুজ হতাম ! উড়ে উড়ে চলে যেতাম বরিশাল রাজশাহী মেদিনীপুরের থেকে আরও দূরে ভালোপাহাড় হয়ে ঝাড়গ্রাম ঝাড়খণ্ড, আরও দূর ভীমবেটকার গুহার ওপাশে দীর্ঘতম ঐ গাছের ডালে । পথে ব্যাধতীর, পাখিশিকারির বন্দুকের শিস, মাংসলোভী মানুষের নখজাল পার হয়ে, চলো, উড়ে যাই অন্তরীক্ষ পার হয়ে, সুপারনোভার কাছে ।
মেঘ না চাইতেই বৃষ্টি, কি করে বলি, বৃষ্টি তো আর আসেনি ঘরে, বরং রূপালি এক রেখা দেখেছি, মেঘ বলি তাকে, এ সেই ইশারা, যার প্রান্ত ধরে নেমে এসেছো, না, এই ঘরে নয়, পা যেখানে রেখেছো, সে আসলে এক মৃতনাভিদেশ, দূরে কুয়াশাচ্ছন্ন বদ্বীপ, প্রকৃত কীর্তন ছাড়া যে দ্বীপের ঘুম কখনো ভাঙে না । কীর্তনের কথা মনে আছে তোমার ?
ডুব দিই জলে, ভাসি পুনরায়, ও পুকুর, আগুন পেতেছো মেলে । ডুব সাঁতারের এই খেলা অন্তহীন । যেন এক ডিঙি নৌকা ডোবে আর ভাসে, যেন হাঁস, প্রখ্যাত সাঁতারু, জলের উচ্ছ্বাস দেখে, তীব্র হয় খেলা । উচ্ছ্বাস আগুনজলে, লোহাস্পর্শে, শীত্‍কারধ্বনির সমান হূ হূ ঐ বাতাসে, যেন ক্ষমতা দখলকারী মিছিলের ঢেউ, আছড়ে পড়ছে । ও পুকুর, তুমি পূণ্য, তুমি মোক্ষ, তুমি সেই ধর্মগ্রন্থ, আজানের আর্তি তুমি, এই ইহকাব্যে প্রধান চরিত্র তুমি, গূঢ় সাঁতারুরা জানে । আগুনের জলে নেমে, এই বৃথাজন্মে, কিছুটা জেনেছি তোমার কল্যাণে ।
মিছিলের তুমি, না-মিছিল থেকে ফিরে এসে, বাঘিনীর থাবা মেলে ঝাঁপিয়ে পড়েছো নির্জন পার্টির ক্লাসে । আমি একা ছাত্র সেই পার্টিক্লাসে, বসে আছি ডাস নয়, দেহক্যাপিটাল খুলে ।
বাদামী কাঠিটি, একা, পড়ে আছে, অক্টোপ্যাড থেকে বহুদূরে ।
সম্ভবত দেবদাস আচার্যই বের করতেন 'বাইসন' । সে সত্তর দশকের কথা । আমার তখন কলকাতাযাপনকাল । অনুরুদ্ধ হয়ে লিখেওছিলাম ঐ কাগজে । ১৯৭৯ সালে সরকারি চাকুরির লোভে অফার পেয়ে আগরতলাবাস শুরু করি । দীপংকর সাহাও ফিরে আসে কলকাতা থেকে । ত্রিপুরায়, আমাদের সমকালীন লেখালেখি তখন পছন্দ হতো না আমাদের । দীপংকর বলতো, এসব কি লেখা হচ্ছে ? অলংকারশাস্ত্র, ছন্দ ইত্যাদির জ্ঞান ছাড়াই যে যাখুশি লিখে যাচ্ছেন আর হাততালি পাচ্ছেন । নকুল রায় তার কিছু অনুগত নিয়ে হৈচৈ করে বেড়াচ্ছে গ্রুপ সেঞ্চুরি নামে । বন্ধুত্বের দায়ে তাদের ঐ সব হৈচৈ-এ থাকতে হতো । তাদের ঐ উন্মাদনা খারাপ লাগতো না । দীপংকর বিরক্ত হতো । একদিন বললো, চলো, একটা কাগজ করি যা তারুণ্যের প্রতীক হবে । তার প্রস্তাব মেনে, দেবদাসের ঐ কাগজের নাম ব্যবহার করে বের করি 'বাইসন' । শিং উঁচিয়ে আসা এক কাগজ । ভালো কবিতা ছাডা লেখা ছাড়া কাউকে পাত্তা দিতাম না আমরা । সঙ্গে পেলাম প্রদীপ দত্তচৌধুরী, অসিত দত্তকে । অসিত দত্ত এ রাজ্যের সেরা গল্পকার যার তুল্য এখন অবধি আর কেউ হতে পারেনি । এই বাইসন তখন ত্রিপুরায় মীথ হয়ে দাঁড়িয়েছিলো, এই কারণে, ৩০০ কপি বের করতাম তার মধ্যে ২০০ কপিই বিক্রি হয়ে যেত এডভান্স ।
কবিতা পালিয়ে গেছে তরুণ কবির হাত ধরে । গদ্য বলে, বুড়ো এবার ক্ষান্ত হ । জ্বালিয়ে মেরেছো এতদিন, আর কত ? তাকতই নেই, কব্জি শক্ত নয়, এসেছো মরতে ! ভাগো হে এবার... তাহলে কি তাকতই শেষ কথা ? রিংয়ের বাইরে থেকে যাওয়াই তবে ভবিতব্য ?
২৫ জানুয়ারি ১৮২৪ এক মহাকবির জন্মদিন । তিনিই বাংলা কবিতার জগতকে আলোড়িত করে তুলেছিলেন, বাংলা নাটকের ভুবনকে নতুন রূপ দিয়েছিলেন, তিনি পরম কবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত । এই দিন মিডিয়ার অন্ধকারে প্রতিষ্ঠানের উদাসীনতায় থেকে গেছে আড়ালে, যেমন থেকে যায় জীবনানন্দের জন্মদিনও । আজ এই দিনটিতে দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিলোনীয়া জন-গ্রন্থাগারে আয়োজন করা হয়েছে কবিসম্মেলন ! দীন, তবে আন্তরিক ।
@ ভোটদাতার অঙ্গীকার @ ভারতীয় নাগরিক হিসেবে এবং ভারতীয় গণতন্ত্রের প্রতি আস্থা রেখে অঙ্গীকার করছি যে, আমরা আমাদের দেশের গণতান্ত্রিক তথা স্বাধীন, স্বচ্ছ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পরম্পরাকে ধরে রাখবো । প্রতিটি নির্বাচনে নির্ভীকভাবে এবং ধর্ম, জাতি, সম্প্রদায়, ভাষাগত কারণে প্রভাবিত না হয়ে এবং কোনও প্রকার প্রলোভনে প্রলুব্ধ না হয়ে ভোটদানে রত থাকবো ।
বলেছি, এবার থামো । শোনেনি সে । টগবগে ঘোড়া নয়, মেরুদণ্ড ভাঙা এক সরীসৃপ । থামেনি, ফলত, হাঁটু ভেঙে পড়ে আছে সমাধিভূমির আগে, নির্জন সে অন্ধকার পথে । মূলত সে আমিই পরজন্মলোভী কামার্ত কৃষক ।
মফস্বলের কবিসম্মেলন মানে বিস্তর মজা । যারা কবি নন, তারাও এসে অম্লানবদনে কবিতা পাঠ করেন, যা কবিতা নয় আদৌ । বেশ বেশ করে মাথা নেড়ে প্রশংসাও করতে হয় তাদের । আজ এরকম এক কবিসম্মেলন হলে জনগ্রন্থাগারে । তার আগে মাইকেল মধুসূদন দত্তর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান এবং পুষ্পার্ঘ অর্পণ হলো । আগরতলা থেকে এলো প্রবুদ্ধসুন্দর কর, শুভেশ চৌধুরী, মাধব বনিক । বিশালগড় থেকে অপাংশু দেবনাথ । উদয়পুর থেকে অনিরুদ্ধ সাহা ও আরও অনেকে । কবিতা পাঠের আসরের পর যথারীতি কবিদের আড্ডা ওঠে জমে । তত্ত্বাবধায়কের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে যার কোনোটাই উপভোগ করতে পারিনি আমি । তবু দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলাপ্রশাসনের উদ্যোগে এরকম একটা অনুষ্ঠান হয়ে গেলো বিলোনীয়ায় । কম কথা নয়
সমুদ্র স্নানের শেষে, দেখি, দেহে লেগে আছে নুন, ক্ষার, পিচ্ছিল শ্যাওলা । সাঁতারপর্বটি উত্তেজক, ঢেউ এসে ভেঙে পড়েছিলো দিব্যচরসের মত । গোপন বদ্বীপে, প্রতিরাতে, চাঁদের জোয়ার নামে, ফুলে ওঠে সমুদ্রের জল । পরিত্রাণহীন স্নান শুরু হলে, ফেনা ও বুদ্বুদে মাখামাখি জলযান এই দেহ তোমাকে প্রণাম করে, যে তুমি মূলত বেদনার অন্তিম সন্তান ।
আমাকেও কেউ কেউ আনফ্রেণ্ড করেছেন, ব্লক করেছেন, আবার ব্লক করেও, পুনরায়, পাঠিয়েছেন ফ্রেণ্ড রিকোয়েস্ট । রোজ আট দশজন বন্ধু হতে চাইছেন, তাদের অনেককেই গ্রহণ করেছি বন্ধু হিসেবে । কামার্ত পুরুষ হিসেবে যতটা পরিচয়, তার চেয়ে বেশি পরিচিত উদ্ধত বলে । কেউ আবার বলেছেন, আমি আসলে কোকাপণ্ডিতের চেলা হিসেবে লিখছি । এসব আমার ইনবক্সতথ্য । আবার শুভেচ্ছাও পাঠাচ্ছেন অনেকেই । তাদের ভালোবাসায় আপ্লুত আমি । ভালোবাসা কে না চায় ? এর ফাঁকে এটুকু বলি, আমি এসবের কিছু নই । আমি মূলত সেই অনস্তিত্ব, যাকে ঘিরে শুধু শূন্য অন্ধকার ।
জাতিস্মর নই, পরজন্মছায়া থেকে দূরে থাকি । উত্‍সর্গ করেছি এ জন্ম, তার নামে, ভালোবেসে । অনস্তিত্ব তার নাম । লোকে বলে, সত্য অন্ধকার ।
@ ছায়া @ বুকের মাঝে যেই গিয়েছি ধরতে,/ হায় সজনী, থাকো নি আর মর্তে !
জমে ওঠেছিল পিকনিক । কফির ধোঁয়ায় ঢেকেছিলো ফরেস্টবাংলোর ঐ আকাশ, দূরে চিড়িয়াখানার নিরীহ বানরকুল, রয়েলবেঙ্গল, হিপোপটমাস ও ভালুক । অজগর ও মুরগী মুখোমুখি, যেন সার্কাসের খেলা । লেকের নিভৃত জলে বুনোপাখি । পিকনিক জমে ওঠে ক্রমে । মাংসের গন্ধ ঢেকে যাচ্ছে মিশ্র দরবারি রাগে । এই পিকনিকে এসে, দেখি, অনস্তিত্ব ছুটে যাচ্ছে অস্তির সকাশে । সেখানে কি তুমি থাকো ?
@ ধর্ষকের কথা @ বলেছি, পুরুষ আমি । এই যে শাবল, মূলত কর্ষণে ব্যবহৃত । তুমি নারী, কৃষিজমি, কর্ষিত হবার জন্য এই জন্ম । মেনে নাও, ধর্ষণের এই সংজ্ঞা, নিহিত যে তাত্‍পর্য । তোমাকে ধর্ষণ করে মোক্ষলাভ, ফসলের সাধ নিই আজ । বলেছি, ক্ষমতা শাবলে, কর্ষণে, মেনে নাও, নারী । মেনে নিলে তুমি হবে দেবী, পরম আরাধ্যা ।
লবণহ্রদের কথা পড়েছি ভূগোলে । শাদা ককেশাস, গাঢ় ঐ সবুজ উপত্যকা আজ পাঠ করি তোমার শরীরে । লবণহ্রদের দিকে যেতে যেতে, দেখি, শর্ষেক্ষেত ছাপিয়ে উঠছে ঢেউ । নোনাগন্ধে মাতাল গোসাপ, বুনো শুয়োরের মত ঘাড় গুঁজে, নেমে যাচ্ছে হ্রদের আগুন জলে । ভূগোল পাঠের ফলে, জেনে যাই, খনিতে নামার আগে বেজে ওঠে সাইরেন তোমার শরীরে ।