Monday, August 18, 2014

পল্লব ভট্টাচার্য, কবি ও ঔপন্যাসিক, আজ সকালে, হঠাত্, আমাদের ত্রাণশিবিরে এসে, উপস্থিত ! সঙ্গে খোকন সাহা !
আমার মতো ছাপোষা লোকের ঘরে তার আগমন, নিঃসন্দেহে, বিশাল ব্যাপার ! আমি তো যারপরনাই আহ্লাদিত !
পল্লব মানেই নির্ভেজাল আড্ডা ! সে আড্ডা, ততক্ষণে, সাহিত্য থেকে পর্যটনে চলে গেছে, আর আমরা ঊনকোটিতে !
ত্রিপুরার পর্যটন মানচিত্রে ঊনকোটির উল্লেখ থাকলেও এই স্থান নিয়ে তেমন হেলদোল নেই স্থানীয় জনগণ থেকে জনপ্রতিনিধি কারও, এমনকি, পর্যটন নিগম আলো করে বসে থাকা কর্তাব্যক্তিদেরও ন যযৌ অবস্থা !
সপ্তম থেকে নবম শতাব্দীতে গড়ে ওঠা এই ঊনকোটির ভাস্কর্য সমূহ আমাদের গর্ব হয়ে উঠতে পারতো, পারেনি উপেক্ষার কারণে ! এক বিশাল এলাকা জুড়ে, পাহাড়ের গায়ে, কে বা কারা এইসব অসাধারণ ভাস্কর্য গড়ে তুলেছিলেন আজ আর কারও জানা নেই !
জানা নেই, কতদূর বিস্তৃত ছিলো এই ঊনকোটি ! কেউ জানার আগ্রহও দেখাননি কোনোদিন !
ঊনকোটিতে এখন যারা যান, তারা দেখে আসেন কিছু ভাস্কর্যের ফসিল আর উলটো দিকের পাহাড়ে একটা চালার নিচে রাখা কয়েকটা মূর্তি ! এসব দেখে, দ্বিতীয়বার যাবার কথা ভাববেন না কেউ ! অথচ চিনিবাগানের দক্ষিণ দিয়ে গেলে পাহাড়ের উপরে যে বিশাল শিবমূর্তিটি আছে, তার গলার সাপ দেখলে, আমার বিশ্বাস, কোনো শিল্পপ্রেমীই ফিরে আসতে চাইবেন না ! ঐ সাপটির চামড়ার যে কারুকার্য তা বিস্ময়ের !
অথবা ঊনকোটির ঝর্ণা বেয়ে নেমে আসা জলজাতলক্ষ্মী ছড়া দিয়ে হেঁটে গেলে যে সকল ছিন্নভিন্ন মূর্তি দেখা যায়, তা এখনও দাবি রাখে গবেষণার !
হায় ! এসব কে করবে ?
পল্লব কিছুদিন কৈলাসহরে ছিলো মহকুমা শাসক হয়ে ! সেও তার আক্ষেপের কথা বললো !
কৈলাসহরবাসী কৈলাসহরেই আছেন, এসবে মন দেবার ফুরসত তাদের আর কই ? পর্যটন নিগম নিগমিত হয়েই আছে, মাঝপথে ঊনকোটি বা পিলাক ধ্বংসই ভবিষ্যত বলে প্রতীক্ষা করছে !
feeling pained.

No comments:

Post a Comment