Thursday, December 4, 2014

বলিতে বাধা নাই, খচ্চর প্রজাতির আত্মীয়তা অর্জন করিতে ফেসবুক অদ্বিতীয় !
শত্রুলাভ করিতেও ইহার জুড়ি নাই !
আত্মজ্ঞাপন করিবার এই মাধ্যমটি বিপ্লব ও জিগিরের প্রধানতম অঙ্গ বলিয়াও চিহ্নিত !
ইহার অন্তর্বাক্সটিও বারুদঘর, মাঝে মাঝে, বিস্ফোরণ যে হয় না, তাহা হলফ করিয়া বলিতে পারিবে না কেহ !
বারুদ থেকে মৌন কলরব, যৌনপিকনিক, সকলই ইহার প্ররোচনামাত্র !
প্রাতঃকালে ঈশ্বর ও আল্লাহ একসঙ্গে বসিয়া চা-পান করিতে বসিলে, গড আসিয়া তাহাদের বলেন, লেট আস এনজয় !
আমরা মনুষ্যজাতি তাহাদের মহিমা বুঝিতে পারি না, বলিয়া, ফেসবুক নমাজ ও আরতির সুবন্দোবস্ত করিয়াছে !
তরুণ কবি, ব্যর্থ প্রেমিক, অবদমিতা কিশোরী থেকে চল্লিশা বধূও ফেসবুককেই ত্রাণশিবির মানিয়া আত্মসমর্পণ করিয়াছে আধবুড়োদের সহিত !
ফলে, কর্তৃপক্ষকে এই ফেসবুক আপগ্রেড করিতে হইতেছে !
নীরবে সহিব সে আঘাত...
আকাশের নীল, তোমারই হাত ধরি'
বক্ষে ধরিব আজ সকল অবজ্ঞা...
রাত্রিরচিত নৈঃশব্দ মূলত আর্তসন্ত্রাস, যার
থাবা থেকে পরিত্রাণ পেতে
তুমি রচনা করেছো আহত আমাকে...
কাউকে বলিনি এইসব...
প্রথম ব্যক্তি : হাওয়া কোনদিকে বইছে ?
দ্বিতীয় ব্যক্তি : হাওয়া কোনদিক থেকে আসছে ?
তৃতীয় ব্যক্তি : হাওয়া কি আসলেই বইছে ?
চতুর্থ ব্যক্তি : হাওয়া দেওয়া হচ্ছে না তো ?
পঞ্চম ব্যক্তি : কোথাও ষড়যন্ত্র হচ্ছে না তো ?
ষষ্ঠ ব্যক্তি : প্রতিবাদ করতে হবে !
সপ্তম ব্যক্তি : পারমিশন ছাড়া ?
অষ্টম ব্যক্তি : কার পারমিশন ?
নবম ব্যক্তি : ন্যাকা ! জানো না, আমাদের পলিটব্যুরো আছে, হাইকমাণ্ড আছে, শীর্ষনেতৃত্ব আছে, চীন আছে, আইএসআই আছে, আমেরিকা আছে, সিআইএ আছে...
দশম ব্যক্তি : আঃ ! তোমরা থামবে !!!

তখনই তারা অনুভব করে, হাওয়া নয়, জলধারায় ভিজে যাচ্ছে তাদের মাথা ! উপরের দিকে চোখ তুলে তাকাতেই, লক্ষ্য করে, এক উলঙ্গ শিশু ছাদ থেকে পেচ্ছাপ করছে তাদের মাথায় !
দুজনের দেখা হলো সূর্যাস্তের পারে,
এক যৌনউট আর খচ্চর-পত্নীর...
বেলা হয়ে এলো, তবু কোকাপণ্ডিতের
দেখা নেই, বলে ওঠে দুজনেই ! দূরে,
বৈতরণী, নীল এক মেঘখণ্ড ভেসে
যাচ্ছে অপসৃয়মান ছায়ার মতন !
তাহলে কি বৃথা যাবে এই সন্ধ্যাকাল ?
খচ্চর-পত্নীর মনে অনুশোচনার
তাপ বেড়ে ওঠে ক্রমে, পালিয়ে এসেছি
লোকালয় ছেড়ে, বৃথা হলো তবে সব ?
গলা উঁচিয়ে সে, যৌনউট, খচ্চরপত্নীকে দেখে
ঝাপসা চোখের দৃষ্টি, ভাবে, এত কাম
ছিলো তবে জলহীন কুয়োর গভীরে ?
প্রেম নয় ? তাহলে কি এই সন্ধ্যাপ্রেম
মূলত আমিষ ? উত্তেজনা নিভে গেলে
পড়ে রইবে কা র্বন -ডাই -অক্সাইড ?
সংজ্ঞা পালটে যাচ্ছে দ্রুত !
ডান হয়ে যাচ্ছে বাম, বাম সরে যাচ্ছে ডানে,
এখন মুখোশ হয়ে উঠছে প্রধান,
মুখ নেই কতকাল হলো !
এরকম দিনে তোমাকেও দেখি ফিরে
যাচ্ছো সূর্যাস্তের দিকে, একা !
হাতে সেই পুরোনো পতাকা,
ম্লান, শতচ্ছিন্ন !
যে শ্লোগান দিতে কিছুদিন আগে, আজ
তার অর্থ ব্যঙ্গ করে ওঠে,
বলে, চিন্তা নেই, বিপ্লব এসেছে ফিরে
মৃত কলোনীর সমাবেশে !
দ্রুত পালটে গিয়েছে সব,
সমাবেশ থেকে পথ, পোস্টারের ভিড়ে
খুঁজে যাচ্ছো কার দীর্ঘ মুখ ?
কার স্পর্শ ? কোন শান্ত ধ্বনি ?
একজন সন্ধ্যার সঙ্গীত,
অন্যজন রাত্রিভজনের !
দুজনের কাছে গিয়ে, দেখেছি, আহত
অশ্রু চোখের পাতার নিচে
দুজনেই ডেকেছিলো কাছে
হারানো নদীর মত অঘ্রাণের শেষে !
সতীনের মত দুই বোন
দেখায় মুদ্রার চোরাটান
শরীরের, নাভি থেকে উঠে আসা ধান
মেলেছে দুহাতে
কেতু-পুরুষের মত আরতিকে রেখে
রাহুর প্রবল টানে হাত রাখি
রতির ঊরুতে, কেঁপে ওঠে
দরোজা জানালা
ভূমিকম্প শুরু হলো বুঝি ?
আরতির আগে ?
দেয়ালের লেখা পড়েছিলে ?
স্তবসঙ্গীতের টানে ভুলে গেছো সব ?
ভরা নদীটিও মরে যায় একদিন
বুকে নিয়ে বালি
তেত্রিশ বা দশ নয়, সকল সংখ্যা
মুছে দিয়ে ঢেউ আসে জোরে
থেমে যায় স্তবগান, অন্ধ সামকথা !
ফিস ফিস করে
কথা বলে এ গলি ও গলি,
শোনোনি সে কথা ?
ডুবে যেতে যেতে নৌকোটিও
প্রশ্ন করে অভিজ্ঞ মাঝিকে !
মাঝি কি উত্তর দেবে ? মাল্লা
সহ সঙ্গীসাথী
আর এক নৌকার গলুই
ধরে উঠে যাচ্ছে উধাও বালির দিকে !
Like · ·
কাকচরিত্র জেনেছো
জেনেছো কি কাক-সম্মোহন ?
সকল পথের শেষে পড়ে থাকে ছায়া
প্রতিটি পথের বাঁকে শান্ত কাঁটাঝোঁপ
এটুকু জেনেছে মৃত গোধূলির মেয়ে,
আর জানে একা দীর্ঘশ্বাস !
নতুন কবি, আমি তোমার তরুণ ঘৃণায় উপচে উঠি....(জয় গোস্বামী)
কবি, দার্শনিক, শিল্পী ও সমালোচক
সকলেই রাজকৃপা লোভী,
কার্যত ভিখারি !
যারা হেঁটেছিলো
যারা বিরোধিতা করেছিলো
মুখরোচক সমালোচনা করেছিলো,
তারা সকলেই নমস্য !
কেন না, তারা সবাই নক্ষত্রলোকের লোক !

কোনো না কোনো দলের লোক তারা !
তারা জনগণ নয়, কেউ
কবি, শিল্পী, কেউ গায়ক বা অভিনেতা,
স্বাধীনতাকামী
তাদের প্রণাম করি আমি !
এই দেশ উজ্জ্বল হয়েছে তাহাদের
গভীর চিন্তায়
গুজরাটে, যে মেয়েটি নিজেকে বেঁচতে
চেয়ে স্ট্যাটাস দিয়েছে, তার
কথা ভাববার সময় পায়নি তারা
দুস্থ পরিবার তার, কাজ নেই কোনো,
মোদীর রাজত্বে এখন এ ছাড়া পথ নেই আর
মেয়েটি বলেছে...
সে জানে না, সারদাকাণ্ডের কথা, স্বপ্ন
ও সমাজ বদলের কথা,
ব্লকে ব্লকে দুর্নীতির কথা,
দলীয়করণ থেকে ভোটের বেপার
সে জানে, নিজেকে বিক্রি করে
তাঁর দুস্থ ও অসুস্থ পিতা ও মাতাকে
বাঁচাতেই হবে !
এই দেশ সত্যিই মজার !
স্বপ্নভূক কীট...
আজ একটি কথাও নয়,
আজ নীরবতা
পালন করছে এই দেশ !
যারা হেঁটেছিলো,
আর যারা হাঁটেনি কখনো,
নীরব হবার পালা এবার তাদের !

তুমি কার পক্ষ ?
প্রশ্ন করে ওঠে মৌনস্বর,
কার পক্ষ ? কার ?
জিহ্বা কাটা গেছে,
অন্ধ হয়ে আছে এই চোখ,
পক্ষ হবে কার ?
দল-উপদলে
শ্লেষ্মা, কফ, পূঁজ সহ পার্টির দলিলে
এটুকুই জেনেছে,
আমি ছাড়া সব
বেঠিক ও পূঁজির দালাল,
ষড়যন্ত্র, জানি, চতুর্দিকে !
আজ কথা নয়,
আজ চারদিকে নীরবতা,
হেঁটে ও না হেঁটে !
যারা হেঁটেছিলো
যারা হাঁটতে যায়নি কাল
মুখর নিন্দায়,
সকল ধিক্কার
তাহাদের সকলের প্রতি...
বলে ওঠে আজ
বৃত্তের বাইরে
থেকে, তিলে তিলে মৃতপ্রায়
গুর্জর-তরুণী !
মিছিলের পরে
কারা ছুঁড়েছিল ঢিল ? কারা ?
বলিলো তাহারা !
মাথা নাও গুণে,
তারপর দেখে নিও জুনে
ছেড়ে দেবো কবন্ধ বানিয়ে
আর জানো ইয়ে
মানে ঐ প্যারেড
করাবো অগাস্টে, কমরেড,
এখন জমানা আমাদের,
টো করলে, শালা, পাবে টের !
জানালা হাসছে,
অভিমানী গ্লাস, তার চোখে
জল, জিভ মেলে
ধরেছে সবুজ বাটি, টেবিলের বুকে !
এই দৃশ্য আগামী জন্মের
হৃদয় যেখানে
পণ্যের চেয়েও অতিপণ্য !
মৃত স্কুলমাঠ পেরিয়ে, ঐ,
ঐ যাচ্ছে চামচ, কাঁটাপৌষ,
পোশাকের হিম
ঝেড়ে ফেলে, আর এক পোশাকের দিকে !
1975 এর জরুরী অবস্থার পর স্বৈরাচারিণী ইন্দিরা গান্ধীকে সরাতে গিয়ে, বামপন্থীরা হাত ধরেছিলেন আজকের এই বিজেপির ! সিপিআইএম এর পার্টিদলিল ঘাঁটালেই, দেখা যাবে, তাদের কাছে সেসময় প্রধান শত্রু ছিলো এই স্বৈরাচারী কংগ্রেস !
পরবর্তীকালে, সিপিআইএম তাদের অবস্থান বদল করলেও, পুনরায়, রাজীব গান্ধীর কংগ্রেস সরকার হঠাতে ভিপিসিং সহ বিজেপির হাত ধরে তারা !
পার্টিদলিলে প্রধান শত্রু চিহ্নিত করতেই তাদের লেগে গেলো পঞ্চাশ বছর !
সাম্প্রদায়িকতা না কি স্বৈরাচার ? এই প্রশ্নে পেণ্ডুলামের মত একবার এদিক একবার ওদিক করতে করতে, তারা নিজেরাই এখন দুর্নীতির অতল গহ্বরে, যেখান থেকে বেরুবার পথ জানা নেই আর ! ফলে, পরবর্তী পার্টিকংগ্রেসে ভুল নেতৃত্বের উপর যাতে আঘাত না আসে, তারই পাকা বন্দোবস্ত করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে !
পরম সুবিধাবাদের উত্কৃষ্ট নমুনা এই দলই, ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য স্ট্যালিনের সর্বগ্রাসীবাদ কাজে লাগাতে জুড়ি নেই এদের !
বেডরুম থেকে শ্মশান বা কবরে এদের পতাকা শোভিত না দেখলে নিশ্চিন্তে ঘুমোতে পারেন না !
পাড়ায় পাড়ায় এলসি অফিস, বুথ অফিস মূলত নজরদারির লক্ষ্যে !
মিথ্যা বলাতেও জুড়ি নেই এই দলের !

আজ মমতা যা হয়েছেন, সব এদেরই অবদান ! কাল যদি মোদিময় হয়ে ওঠে, এই রাজ্য বা পশ্চিমবঙ্গ, তাও এই সিপিআইএম-এর অবদান !
মাঠের বক্তৃতায় তারা বিজেপির বিরুদ্ধে আকাশবাতাস গরম করতে পারেন, এটা তাদের নির্বোধ অনুগামীদের সামনে নিজেদের বিপ্লবীয়ানা বজায় রাখার জন্য !
গেরুয়াকরণের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করতে গিয়ে তারা ভুলে যান, সর্বত্র লালীকরণে মেতেছিলো তারাই !
জনকণ্ঠরোধে এই দলের সঙ্গে মোকাবেলা করা আর কোনো দলের পক্ষে সম্ভব নয়, ইন্দিরাকে তো জরুরী অবস্থা জারি করতে হয়েছিলো, এদের তা প্রয়োজন হয় না !
এই দল মোদীর আগ্রাসন রোধ করবে, এটা আর কেউ বিশ্বাস করবে, বলে, মনে হয় না !
আমাদের কাছে স্বৈরাচারী সরকার এবং সাম্প্রদায়িক সরকার দু-ইই সমান ! অর্থাত্, ডাঙায় বাঘ, জলে কুমীর নিয়ে আমরা আছি ! দল নয়, স্বৈরাচার বা সাম্প্রদায়িকতার প্রতিরোধ করতে হয় জনগণকেই, যে জনগণের কথা সকল পার্টি বলে থাকে, এই জনগণ সেরকম দলদাস নয়, ব্রেণওয়াশড নয় ! বরং এই দলদাসপ্রথাকেও ঘৃণা করে তারা, সচেতন এবং মুক্তিকামী তারা আর প্রার্থনা করে, ইয়ে হামারা দেশ হ্যায় ! গেরুয়া, সবুজ, লাল, শাদার দেশ নয়, বরং সাত রঙ-এর দেশ, শান্তির দেশ হয়ে ওঠুক !
কথা যখন ফুরিয়ে যায়,
আগুন যখন নিভে যায়,
তখন সে আসে
দু-হাত বাড়িয়ে, বলে, এসো !
তরতরিয়ে নেমে যাচ্ছো সিঁড়ি
সিগার থেকে বিড়ি
বগলে আধপোয়া দিশি
মালের শিশি
কেমন হলো বলুন দেখি প্রমথনাথ বিশী ?
-শক্তিপদ ব্রহ্মচারী
(স্মৃতি থেকে, ভুল হলে মার্জনীয়)
রাত জাগছে বিছানা, আর
টেবিলে নাইট ল্যাম্প, গ্লাস,
দেয়াল ঘড়ির শ্বাসে ভরে যাচ্ছে ঘর !
বস্তুত এসব দৃশ্য দেখে
জম্ম নেয় গান,
গানের ঐ সরগম খেয়ে
ফেলছে ঘরের নীরবতা !

উপমার দিন আর নেই,
বীমাহীন আয়ু বাড়ছে ফ্রিজের, তার
সবুজ মুছেছে টিকটিকি !
ঘরের দিন ও রাত্রি দেখে,
বোঝে না কিছুই !
একা, রচনাকুশলী স্বপ্ন
ঢুকে যাচ্ছে দীর্ঘ শীতের ভেতর...
জানো, কোথাও একটা ভাংচুর হচ্ছে...
সে কি এই অন্তরমহলে ?
বাক ও বিভূতি এলো এই সন্ধ্যাবেলা,
তার আগে সাপলুডো খেলা
খেলেছিলো শান্তাদির অন্ধকার ঘরে,
হার-জিত্ সব থাক পড়ে
বিছানা ভরেছে শুধু নীল সর্পবিষে
মই থাকে চিত্ হয়ে, বিভূতির নিচে,

দুপুরের খেলা শেষে বাক ও বিভূতি
এসেছে সন্ধ্যার ঘরে, হাতে জীর্ণ পুঁথি,
প্রাচীন উপমা সহ লক্ষ্মীধরকৃত
টীকা ও টিপ্পনিময়, ভীত
পুরুষের মত ধুকপুক ধুকপুক
গৃহ ময় আজ বাক-বিভূতির সকল অসুখ
জীর্ণ পুঁথি, সাপলুডো, শান্তাদির ঘর
তবুও অসুখে থাকে তারা পরস্পর !
শামুকজীবন শেষে পড়ে থাকে এক
খোলস, ভেতরে মাটি, শ্যাওলার মত
কিছু পাতা, পাতা বলতেই
এক সবুজ ডায়েরি যার কথা আমি
কোনোদিন বলিনি তোমাকে !
সকল কথা কি বলা যায় ?
এই যেমন, তোমাকে কখনও বলিনি
শামুকের স্বপ্ন, হেঁটে হেঁটে
একদিন চলে যেতে চেয়েছিলো
তোমার গভীরে...
তুমিই সে, শামুকজীবন বাদ দিলে
অর্থহীন হয়ে ওঠে পৃথিবীর দিনরাত্রিগুলি !
তুমি কে ? আমিই বা কে ?
এটুকু জানতে কেটে গেলো এক জন্ম !
জাতচক্র বিচারের পর, জানা গেলো, আয়ুখাদক হিসেবে তার পরিচয় !
লগ্নপতি মিডিয়াশাসিত, দ্বিতীয় দ্রেক্কান তার পুলিশকবলে, নবাংশ চাটুকারবৃন্দ দ্বারা
ক্লেদময়, নবমস্থানের অধিপতি রাহু দৃষ্ট
পঞ্চম শনিপীড়িত, এখানেই শেষ
হলে, তবু কিছুটা বাঁচোয়া !
দেখা গেলো, ভয়ঙ্কর কালসর্পযোগ
আর কর্মাধিপতিও দুর্বল, নিস্পৃহ !
গুরু মারক হয়েছে, ফলে, তাকে বাঁচাবার নেই
কেউ, কেতুর প্রতাপে সে আয়ুখাদক
নিজ আয়ু খেয়ে, তাকে যেতে হবে এক
সমাপতনের দিকে, এই
তথ্য জেনে বিচলিত হবার কারণ
কারও নেই, দশা-অন্তর্দশা বিচারের পর ,তাকে
বলা হয়, যাও, মরণ যখন আসে
গলায় পরিয়ে দিও অস্থিচূর্ণমালা

জাতচক্র পাঠ শেষ হলে সম্পর্কের
মত নেশাচ্ছন্ন তোমাকেই দেখি, ছাদে
দাঁড়িয়ে গুনছো তারা, দূর আকাশের
হলুদ আমার প্রিয়, তোমার সবুজ
দুজনেই চিরকাল ছিলাম অবুঝ !
দুপুরের গাড়ি আসে আসঙ্গ-লিপ্সায়,
কলতলা মেতে ওঠে অবৈধ কিচ্ছায় !
বিকেলে ছাদের আলো নিভে এলে ক্রমে
তোমাদের মেহফিল উঠেছিলো জমে !
রাত নামে শরীরের উষ্ঞ সরোবরে,
তুমিও সাঁতার কাটো তোলপাড় করে !
দিন যায় প্রাত্যহিক রুটিনে অভ্যাসে,
তুমি তাকে ধরে রাখো ক্যানভাসে !
তরুণ আগুনকথা তুমি লেখো আর,
আমি পড়ি নদীটির নিঃস্ব হাহাকার !
সবুজ তোমার প্রিয় বলেছিলে জুনে,
তোমাকে লিয়েছি তাই এপরিলে চুনে !
<মৃত্যুর প্রতি>
সকল দরোজা বন্ধ করে আমি তোমার দরোজা খোলা রেখেছি...
মরা নদীটির ঢেউ এসে তোলপাড় করে
মরুভূমিটির বালি, না কি তাও নয় ?
মরুভূমিটিকে কাছে টেনে নিয়ে গেছে ঢেউ,
গোপন প্রণয় ছলে, বোঝেনি তা কেউ !
বালি ওঠে প্রাণে জেগে ক্রমাগত জলে
জলের আগুন ডাকে ঝাঁপ দাও বলে !
না কি সে ডাকেনি তবে পূর্ণিমার রাতে ?
রাত্রি তাকে ডেকে গেছে অসহায় হাতে !
ঝাঁপ দেয় তবু কেউ তথাগত দিনে,
মরা নদীটিও জানে, এ বাঁধন ঋণে
জড়িয়ে রয়েছে বালি, চরাচরহীন
জোছনায় আজ ডুবে মরবার দিন !
ভাঙা আয়নার কাচ, কার মুখ রেখেছো ধরে ?
পরজন্ম, তুমি অন্তত ফিরিয়ে দিও না খালি হাতে !