Saturday, January 3, 2015

কিছু বুঝে ওঠার আগে, পড়ে গেলাম, পাশে মৃদুল দেবরায়, তরুণ কবি, তার বৌ মনীষা, আর প্রীতি আচার্য ! সবার অলক্ষ্যে, আমার এই পড়ে যাওয়া, নিউরোলজিস্ট-এর মতে, এক্যুইট স্পণ্ডলাইটিস থেকে ব্রেইনে অক্সিজেন ঠিকমত সরবরাহ না হবার কারণে এই পতন, পাশাপাশি, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, প্রীতি ও মৃদুলকে অসহায় করে তুলেছিলো ! উদয়পুর জেলা হাসপাতালে, নিয়ে গেলে, সেখানে বলা হয়, হেড ইনজুরি, রেফার করা হয় আগরতলা ! পুলক, প্রীতির অনুজ, মৃদুল, মনীষা ও প্রীতি সবাই মিলে, নিয়ে যায় আগরতলা আই এল এস হাসপাতালে !
সেখানে, আগে থেকেই উপস্থিত ছিলো
রামেশ্বর ভট্টাচার্য, শ্যামল বৈদ্য, পল্লব ভট্টাচার্য, অনন্ত সিংহ, মনীষ চক্রবর্তী, মিউজিক কলেজের প্রিন্সিপাল মনিকা দাস এবং আরও অনেকে !
নিউরোলজিস্ট ডাঃ বরা সব কিছু সামলে নেন যথারীতি, ইসিজি, এক্সরে থেকে নানারকমের ব্লাডটেস্ট, এমআরআই, বাদ রাখেননি কোনোকিছুই !
না, মাথার চোট তেমন কিছু নয়, বরং আগরতলা আসার পথে, এম্বুলেন্স চালকের রাফ ড্রাইভিং-এর ফলে, মেরুদণ্ডের মাঝখানের যে ডিসক ক্র্যাক ছিলো, তাতে চোট পড়েছে মারাত্মকভাবে !
এই চোট কবে সারবে, জানি না !
কাল হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাবার পর রামেশ্বর তার গাড়ি দিয়ে পাঠালো ! প্রবুদ্ধসুন্দরও এসেছিলো সকালে !রসেবশে এক স্ট্যাটাসও দিয়েছে, দেখলাম !
এই পতন অনিবার্য ছিলো কি না জানি না, তবে, বন্ধুদের এভাবে পাশে পেয়ে, প্রীতি ও আমি চিরকৃতজ্ঞ !

No comments:

Post a Comment