কবিতার কোনো স্কুল
নেই, সিলেবাস নেই । ফলে, তরুণ কবিটি পড়ে যায় অথৈ জলে । কি করবে সে ? গান শিখতে যায় তার
ছোটবোন । ভাই যায় ছবি আঁকার ক্লাসে । নাচের ক্লাসে যায় তার বান্ধবী । সে কোথায়
যাবে ? কার কাছে ? পাড়ার এক দাদার হাত ধরে এক কবিতার আসরে গিয়ে দেখেছে, বিতিকিচ্ছিরি কাণ্ড
। সকলেই বড় কবি, সকলেই স্বাধীন । আসরের এক কোণে, বিমর্ষ এক না যুবক না বৃদ্ধকে দেখে সে ।
কারও কবিতা না শুনে একটা বই নিয়ে মেতে আছেন । চুপচাপ
তার পাশে গিয়ে বসল ছেলেটি । হঠাত্ লোকটি মুখ তুলে তাকায় তার দিকে । লেখো ? মাথা নেড়ে ঐ তরুণ
সায় দেয়, হ্যাঁ । পড়ো ? আবারও পূর্ববত্ ।
হ্যাঁ । কি পড়ো ? কেদার ভাদুড়ী ? মণীন্দ্র গুপ্ত ? রমেন্দ্র ? রুদ্ধবাক হয়ে পড়ে তরুণ কবি । সে জানে, সুবোধ জয় শ্রীজাত ।
শক্তিসুনীল । এসব নাম তো শোনেনি কখনও । ম্লান হেসে লোকটি বললো, দোষ তোমার নয় । ঐ
মিডিয়া যাদের প্রচার করে, তাদের লেখাই পড়েছ । শোনো, কবিতার কোনো স্কুল নেই । তোমাকে পড়তে হবে পূর্বসূরীদের । সমসাময়িক ও
উত্তরসূরীদের । বেছে নেবার চোখ খোলা রেখেই একাজ করো । ছেলেটি তখন দেখে, এক অতিপ্রচারিত কবি
পড়ে যাচ্ছে রাজনৈতিক মেনিফেস্টো ।
No comments:
Post a Comment