রাতে,
ফেরার পথে, ক'দিন ধরে, তাকে দেখতাম, ফুটপাতে দাঁড়িয়ে আছে সে, একটা
ল্যাম্পপোস্টে হেলান দিয়ে । একদিন বললো, একটা সিগারেট দেবে ? তখনই, ভালো
করে তাকিয়ে দেখি, বাইশ তেইশর যুবতী । স্লিম, ঈষত্ শ্যামলা, চোখ নেশাচ্ছন্ন
। সিগারেট বাড়িয়ে দিই । ম্যাচিস ? তাও দিই এগিয়ে । সিগারেট ধরিয়ে বললো, গত
তিনদিন কেউ আসেনি । আজও এলো না । তুমি যাবে ? চলো, না ? রাতটাকে এনজয় করবে
। কলকাতায় অফিসের কাজে সেবার যাওয়া । থাকি প্রিটোরিয়া
স্ট্রিটে, ত্রিপুরা ভবনে । রাহুল পুরকায়স্থ ও অর্পিতা ঘোষ এসেছিল দিনের
বেলা । একরাত বেলঘড়িয়ায় তাদের ঘরে থেকেও এসেছি । সেদিন ফিরছিলাম কফিহাউস
থেকে । যাবে ? মেয়েটার কথায় কি যেন ছিলো, শিউরে উঠলাম আমি । গম্ভীর গলায়
বললাম, না । আপনার কাস্টমার আমি নই, অপেক্ষা করুন, আজ ঠিক আসবে । তিনদিন
পর, মেয়েটাকে সেই একই জায়গায় দেখলাম । এগিয়ে এসে বললো, থ্যাংকস । সে রাতে
সত্যিই এক রাঘব বোয়াল পেয়েছিলাম । দুমাসের ঘরভাড়া চুকিয়ে দিয়েছি তার টাকায় ।
আজও আসবে সে । প্রিটোরিয়া স্ট্রিটে এসে, ত্রিপুরা ভবনে, ঢুকতে ঢুকতে, মনে
মনে বললাম, সুখী হও, হে রাত্রিসুন্দরী ।
No comments:
Post a Comment