তখন
সবে চাকুরিতে ঢুকেছি । আমার ব্রাঞ্চ অফিসার হীরালাল চৌধুরী, দাপুটে অফিসার
হিসেবে ভারি নামডাক তার । একদিন কথাচ্ছলে বললেন, বাঙালিরা ইংরেজিতে কথা
বলার আগে মনে মনে ট্রান্সলেশন করে । অবাক হয়ে তার দিকে তাকিয়ে থাকি আমি ।
কথাটির সত্যমিথ্যা নিয়ে ভাবছিলাম । তার আগেই, তিনি, পুনরায়, বললেন, প্রায়
প্রত্যেক বাঙালির মগজে একটা ট্রান্সলেশন জোন থাকে । সেখান থেকে এই
অনুবাদকর্ম সম্পাদিত হয়, তার আগে, তারা ভাবে বাংলায়
। হীরালাল স্যরের কথাটির সত্যতা অনুধাবন করি, আঞ্চলিক ভূখণ্ডে বসবাসকারী
বাঙালি লেখকদের গদ্যপাঠের পর । তাদের গদ্য পড়লে মনে হয়, তারা আগে সিলেটি বা
নোয়াখালিতে চিন্তা করেন, তারপর তা অনুবাদ করেন বাংলার মান্যভাষায় । ফলে,
জড়তা থাকে সেসব লেখায় । ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলের অধিকাংশ বাঙালি লেখক এই
জড়তায় আক্রান্ত । একেই, হয়তো, কেউ কেউ বলেন গ্রাম্যতা ।
No comments:
Post a Comment