হে হে ! ভোট দিবা বুঝি ? কারে দিবা ? লোকটার প্রশ্নে, থতমত রহমত আলী ।
বিড়ির সুখটান দেবার কথা ভুলে গেছে সে । লোকটা বলে কি ? ভোট কারে দিমু, তর
বাপের কি ? মনে মনে একটা খিস্তিও দেয় । আজ সারাদিন কাজ জোটেনি তার । রেগার
কাজ আপাতত বন্ধ । ভোটের সময় কাজ বন্ধ থাকে । বছরে একশ দিনের কাজ বলা হলেও
গড়ে পঞ্চাশদিনও কাজ জোটে না । তবু এটা অনেক ভালো । একটা কোদাল নিয়ে সকাল
দশটায় হাজিরা দিলেই হলো । কাজ তো আর হয় না । বরং মিটিংমিছিলে যেতে হয় ।
তাতেও লাভ । দুদিনের মজুরি খাড়া । এখন সেই সুবিধেটুকু নেই । ভোট
বলে কথা । আর লোকটা জিগ্যেস করছে, কারে ভোট দিবা ? সে, গলা খাঁকারি দিয়ে,
বললো, আর যারে দিই আপনারে ভোট দিমু না । লোকটা হে হে করে হেসে ওঠলো । বললো,
আমারে দিবা ক্যান ? পছন্দ না অইলে এবার না-ভোট দিতে পারো । নোটা বলে একে ।
রহমত অবাক হয় । নোটাবাবুর কথা বলেছিলো এলসির সেক্রেটারি । খবরদার, ভুল
কইরাও তারে ভোট দিবা না । ব্যাটা বিজেপির চাইতে খারাপ । নোটার সিম্বল কি,
তা অবশ্য সেক্রেটারি সাহেব বলেননি একবারও । বললো, নোটারে ভোট দিমু না । ও
ব্যাটা খারাপ । লোকটা এবার ঠা ঠা করে হেসে ওঠে । নোটা কোনো লোক নয়, ওটা
তোমার অধিকার ।
No comments:
Post a Comment