পিলাক
থেকে ফিরে এলাম এইমাত্র । এই সেই স্থান, যা পেটিকারা বলে চিহ্নিত ছিলো, যে
পেটিকারাকে কেন্দ্র করে আমাদের বংশগৌরব । এই পেটিকারার কোনো এক রাজার
বংশধর না কি আমি ! ধনপতি রাজকুমার, যিনি পিতৃহত্যার প্রতিশোধ নিতে
কাছাড়-মনিপুর হয়ে বর্মা যেতে চেয়েছিলেন । পারেননি । তিনি মনিপুরের খুমল
রাজকন্যার প্রেমে পড়ে থেকে যান মনিপুরেই । তার ছোটোভাই অভিকুমার পেরেছিলেন
পিতৃহন্তাকে বধ করতে । পিতৃহন্তা আর কেউ নন, বর্মার রাজা
স্বয়ং । বর্মার রাজমহিষীর সঙ্গে গোপন প্রণয় ছিলো ধনপতি আর অভির পিতার । এই
প্রণয় ধরা পড়ে গেলে, ক্ষিপ্ত বর্মাধিপতি হত্যা করেন ধনপতি ও অভির পিতা,
মানে, পেটিকারার রাজাকে । অষ্টাদশ বর্ষীয় অভি পিতৃহন্তাকে বধ করেন আর
প্রেমে পড়ে যান বর্মারাজমহিষীর । এবং বিয়ে করেন তাকে । দেশে ফিরে যখন জানতে
পারেন তার স্ত্রী আর কেউ নয়, তারই পিতার প্রণয়িনী, অভি তাকে হত্যা করে
নিজে আত্মঘাতী হন । আমি ধনপতির বংশধর । এই প্রণয়-অভিশাপবীজ বয়ে বেড়াচ্ছি
এখনও । রবীন্দ্রসঙ্গীতশিল্পী জয়ন্তী পুরকায়স্থকে আমার পিতৃভূমি দেখালাম আজ ।
কেবল এই গল্পটা নিয়ে আমার একটি উপন্যাস আছে, তা বলিনি তাকে ।
No comments:
Post a Comment