একজন
লেখক বা শিল্পী কীভাবে ধারণ করেন তার ঐতিহ্য ও পরম্পরা ? এই নিরীহ প্রশ্নে
এতদিন উত্তরহীন ছিলাম । অনেকেই বলেন, বলে থাকেন, অবস্থানগত ও ভৌগোলিক ছায়া
থাকা দরকার একজন লেখকের লেখায় বা একজন শিল্পীর সৃষ্টিতে । ত্রিপুরায় বসে
যিনি লিখছেন, তার লেখায় ত্রিপুরার মাটির গন্ধ থাকা বিধেয়, তা বলে,
অনুষঙ্গহীনভাবে তা কি সম্ভব ? বাঁশ, করুল, চাখুই এজাতীয় শব্দ আলটপকা বসালেই
কি তাতে ত্রিপুরার গন্ধ থাকবে ? না কি তা লেখা
হবে ? প্রবুদ্ধসুন্দর, একবার, লিখেছিলেন, গঙ্গার বদলে গোমতী বা ধলাই বসিয়ে
দিলেই তাতে ত্রিপুরায়ন করা হলো ? আজ, রাহুল দেববর্মনের 'নদীর পাড়ে ধোঁয়া'
গানটি শুনতে শুনতে, মনে হলো, কাফী রাগে শুরু করেও অন্তরায় এসে তিনি প্রয়োগ
করেছেন ত্রিপুরার আদিবাসীদের যাদুকলিজার সুর । ত্রিপুরার মাটির সুর এভাবে
কোনো গানে এত সুন্দর ভাবে প্রয়োগ হতে দেখিনি । আরডি বা এসডির গানে যে
হঠাত্ ধাক্কাটি আছে, তা এই ত্রিপুরারই । জোর করে নয়, শোনিতপ্রবাহে বয়ে
বেড়াতে হয় ঐতিহ্য ও পরম্পরা ।
No comments:
Post a Comment